অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে দেশটির সাবেক বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। এরপর ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করায় নিজেদের বলয়ের সদস্যদের ভোটে সহজেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
নির্বাচিত হওয়ার তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে শেহবাজকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার হাত ধরে দেশ বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠবে।
তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেহবাজ শরিফকে অভিনন্দন। আমি আশা করি সে তার ম্যানজেম্যান্ট স্কিল ব্যবহার করে পাকিস্তানকে বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করবে।’
পাকিস্তানের মিয়া পরিবারের মিয়া মোহাম্মদ শরিফের দ্বিতীয় ছেলে শেহবাজ শরিফ। দেশটির প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এবং ইত্তেফাক গ্রুপ অব কোম্পানির যৌথ মালিক ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৮৫ সালে লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
শেহবাজ ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে জাতীয় পরিষদের আসনে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি এবং এমএনএ নির্বাচিত হন। রাজনীতির ৩৪ বছরে এসে ক্ষমতার মসনদের বসলেন শেহবাজ।