1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয় দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

গ্রেফতার ৪২৯ জঙ্গি, তবুও ‘সতর্ক’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২, ১২.১৮ পিএম
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

বিগত বছরগুলোর মতো সশস্ত্র জঙ্গি হামলার চিত্র ছিল না ২০২১ সালে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে জঙ্গি ও উগ্রবাদী তৎপরতা বেড়েছে। এ কারণে অনলাইন প্লাটফর্মের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেখানে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

২০২১ সালে উগ্র ও জঙ্গিবাদে জড়িত থাকা কিংবা প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ৪২৯ জন। যাদের অধিকাংশই এখন কারাগারে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিগত দুই/তিন বছরে জঙ্গি তৎপরতা কমে এসেছে। এরপরও আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। যারা জামিনে আছেন, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিপথগামীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কয়েক স্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কাজ করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) সীমিত পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, বিগত দুই/তিন বছরে জঙ্গি তৎপরতা কমে এসেছে। এরপরও আত্মতৃপ্তিতে ভোগার সুযোগ নেই। যারা জামিনে আছেন, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরিবার ও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিপথগামীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কয়েক স্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে

র‍্যাব সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গেল বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ২৭৩ জঙ্গিকে গ্রেফতার, নয় জঙ্গি ‘আত্মসমর্পণ’ এবং বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করে র‍্যাব।

dhaka post
র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার আনসার-আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবী / ছবি- সংগৃহীত

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র‍্যাব জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এখন পর্যন্ত পূর্ববর্তী ধারা সমুন্নত রেখে র‍্যাব বহুমুখী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ দমন অব্যাহত রেখেছে। শুধুমাত্র অভিযান নয়, জঙ্গিবাদবিরোধী জনমত গড়তে এবং জনসম্পৃক্ততা অর্জনে র‍্যাব ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, গ্রেফতারের পাশাপাশি জঙ্গিদের অর্থের উৎস এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরকপ্রাপ্তি বন্ধে র‍্যাবের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

‘এছাড়া র‍্যাব জঙ্গি আত্মসমর্পণে বিশেষ উদ্যোগ ‘র‍্যাব ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন’ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার মাধ্যমে পুনরায় জঙ্গিরা তাদের সংগঠনের অস্তিত্বের জানান দেয়। হলি আর্টিজান ঘটনা-পরবর্তী র‍্যাব জঙ্গিদের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতারে সক্রিয় হয়। জঙ্গি সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সাফল্যও পায়।’

র‍্যাবের অভিযানে কেন্দ্রীয় দাওয়াতি শাখাপ্রধান, শুরা ও শরিয়া বোর্ড সদস্য, মহিলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ গ্রেফতার হয়। এর মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনকে দুর্বল করে দেয় র‍্যাব— বলেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

হলি আর্টিজান হামলার পর র‍্যাবের তৎপরতায় ১৫৫৮ জঙ্গি সদস্য আটক হয়। এর মধ্যে ৮৩১ জন জেএমবি সদস্য। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের দুই হাজার ৬৮৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এর মধ্যে জেএমবি সদস্য ছিলেন ১৩৯৬ জন— জানায় র‍্যাব।

২০২১ সালে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ২৮৫ জঙ্গি

র‍্যাব সদর দপ্তর জানায়, ২০২১ সালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ২৮৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এর মধ্যে জেএমবি সদস্য ছিলেন ৮২ জন। উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই ও লিফলেট।

২০২১ সালে র‍্যাবের উল্লেখযোগ্য অভিযান

গেল বছরের (২০২১ সাল) ১৫ জুলাই র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৪ এর অভিযানে রাজধানী ঢাকার শাহ আলী থানাধীন বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে আনসার-আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবী ওরফে হাসান ওরফে গুনবীকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১৪ এর অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য জুলহাস উদ্দিন ওরফে কাদেরী ওরফে মেহেদী (৩৪), মোহাম্মদ রোবায়েদ আলম ওরফে ধ্রুব (৩৩), আলাল ওরফে ইসহাক (৪৮) ও আবু আইয়ুব ওরফে খালিদ (৩৬) ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকা থেকে গ্রেফতার হন।

dhaka post
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকা থেকে গ্রেফতার জেএমবি’র সক্রিয় চার সদস্য / ছবি- সংগৃহীত

গত ৯ সেপ্টেম্বর র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব- ২ এর অভিযানে রাজধানীর বসিলা থেকে জেএমবি’র একটি চক্রের কর্ণধার এমদাদুল হক ওরফে উজ্জ্বল মাস্টারকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে জব্দ করা হয় অস্ত্র, গুলি, নগদ অর্থ, রাসায়নিক দ্রব্য ও অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি করা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট।

গত ৪ ডিসেম্বর র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১৩ এর অভিযানে নীলফামারী সদরের মাঝাপাড়া থেকে জেএমবি’র নীলফামারী ও রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান আহিদুল ইসলাম ওরফে আহিদ ওরফে পলাশ (২৬) এবং তার অন্যতম সহযোগী ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (৩০), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডা. সুজা (২৬), জাহিদুল ইসলাম জোবায়ের (২৭) ও নূর আমিন ওরফে সবুজ (২৮) গ্রেফতার হন। অভিযানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য, পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরামর্শে র‍্যাবই প্রথম জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের উদ্যোগ  নেয়। শুরু হয় বিপথগামী জঙ্গি সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা। র‍্যাব ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল (আরডিআরসি) সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে চায়। র‍্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বগুড়া, রংপুর, কুষ্টিয়াতে আত্মসমর্পণ করে সাত বিপথগামী তরুণ।

Dhaka post
জঙ্গিবাদ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে নয় ব্যক্তির আত্মসমর্পণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন / ছবি- সংগৃহীত

২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘নবদিগন্তের পথে’ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ছয় জেএমবি ও তিন আনসার-আল ইসলামের সদস্যসহ মোট নয় জঙ্গি ‘বিনা শর্তে’ আত্মসমর্পণ করে। পুনর্বাসনের জন্য তাদের প্রত্যেককে র‍্যাবের নিজস্ব তহবিল থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি ট্রাক্টর, গরুর খামার, বাইসাইকেল ইত্যাদি সহায়তা দেওয়া হয়।

সিটিটিসির অভিযানে ১০০ জঙ্গি গ্রেফতার

উগ্র ও জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২০২১ সালে ডিএমপি’র কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের অভিযানে ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আনসার-আল ইসলামের ৫০ জন, নব্য জেএমবির ১৫ জন, হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশের চারজন, আল্লাহর দলের একজন, হিযবুত তাহরীরের ১১ জন, জেএমবির ছয়জনসহ সন্দিগ্ধ ও অন্য জঙ্গি সংগঠনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১৩ জন গ্রেফতার হন।

dhaka post
গত ৪ ডিসেম্বর বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ নীলফামারীর মাঝাপাড়া থেকে গ্রেফতার জেএমবি সদস্যরা / ছবি- সংগৃহীত

এ বিষয়ে সিটিটিসি’র ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মিশুক চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, জঙ্গিবাদের প্রত্যক্ষ তৎপরতা কমেছে। তবে অনলাইন তৎপরতা রয়েছে। অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর তৎপরতা সিটিটিসির বিভিন্ন ইউনিট মনিটরিং করছে। এটা আরও জোরদার করা হয়েছে।

ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন ও রিহ্যাবিলিটেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এটা সীমিতভাবে করা হচ্ছে। তবে যারা উগ্র ও জঙ্গিবাদের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন তাদের কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। বোঝানো হচ্ছে বিপথ থেকে ফিরে আসার জন্য।

dhaka post
গত ১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জের নোয়াগাঁও এলাকায় একটি জঙ্গি আস্তানায়ে সিটিটিসির অভিযান / ছবি- সংগৃহীত

‘যারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কিংবা জামিনে বের হয়ে আসছেন, তাদের নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে হলে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে তাদের গতিবিধি মনিটরিংয়ের জন্য বলা হচ্ছে।’

এটিইউ’র ৩৫ অভিযানে ৫৬ উগ্রবাদী গ্রেফতার

২০২১ সালে উগ্র ও জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ৩৫টি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোট ৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে জেএমবি সদস্য সাতজন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ২১ জন, আল্লাহর দলের পাঁচজন, হিযবুত তাহরীরের তিনজন, আনসার-আল ইসলামের ১০ জন, অনলাইন প্রতারক পাঁচজন এবং হেফাজতে ইসলামের চার সদস্য রয়েছেন।

এটিইউ’র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ভুল বুঝে কিংবা ভুল পথে পা বাড়িয়ে জঙ্গি-উগ্রবাদে জড়ানো তরুণ-যুবকদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজের অংশ। কাজটা এটিইউ সুষ্ঠুভাবে করছে। তবে সরকারিভাবে অর্থায়ন না থাকায় যেভাবে করা দরকার সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। মনিটরিং, অভিযান, গ্রেফতারসহ নানা আইনি পদক্ষেপ বাড়ানো হয়েছে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com