নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমি না থাকলে কারও কিছু যায় আসে না। আমি এখন আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি না। আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার মতো আর কেউ নেই। তাই টার্গেটও তিনি একা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ক্লাবের ইতিহাসে এই কাজটি নিয়ে কেউ কখনও ভাবেননি, কেউ করেননি। সভাপতির নিজস্ব অর্থায়নে ও ক্লাব কমিটির স্বদিচ্ছায় এমন একটি সুন্দর ম্যুরাল দেখে আমরা সবাই আবেগতাড়িত।
তিনি বলেন, আমার বাবা ও শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী চাচা একই সেলে বন্দি ছিলেন। তাকে অজু করতে দেয়নি। পাশের রুমে নিয়ে তাদের অফার করা হয়েছিল। তারা বলেছিলেন- আমরা মরে প্রমাণ করতে চাই আমরা শেখ মুজিবের লোক। পরে তাদের হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা এখন শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি সকলের।
শামীম ওসমান বলেন, আমাদের দুটো পয়েন্টে সবাইকে এক হতে হবে। এক পররাষ্ট্রনীতি আরেকটা অর্থনীতি। কিন্তু আমি দেখি কিছু সুশীল দেশ বেঁচে খায়। এই পুলিশ ও র্যাবের ওপরে যখন কোনো রাষ্ট্র একটা কিছু করেছে। আমরা সেটা ডিপ্লোমেটিকভাবে মোকাবিলা করব। কিন্তু যখন আমাদের অপমানিত করা হলো, তখন অবাক হয়ে দেখি আমাদের দেশের কিছু লোক হাত তালি দেয়। এরা কারা। তারা নারায়ণগঞ্জেও এসে মিটিং করে। এ ব্যাপারটা আমাদের দেখা উচিত।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ৩১ বছর বয়সে দেশে এসেছিলেন। তাকে তার ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজকে অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। সেদিন আবারও আসতে পারে। ষড়যন্ত্র এখনও হচ্ছে, আমি জাতির পিতার দুই কন্যার জন্য দোয়া চাচ্ছি এবং নিজের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
শামীম ওসমান বলেন, সামনে আমাদের কঠিন পথ অতিক্রম করতে হবে। দেশের ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে। আমি কোরআনটা অ্যানালাইসিস করে পড়েছি, গত একুশ বছর ধরে পড়ি। শেখ হাসিনা এতিম, আল্লাহ এতিমদের হেফাজত করেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি আসিফ হাসান মাহমুদ মানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, বিজিবি অধিনায়ক মেজর হাবিব প্রমুখ।