ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানে যারা রুশ সেনাদের হামলা করবে, তাদেরকে নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘রুশ সেনাদের লক্ষ্য বেসামরিক স্থাপনা বা লোকজন নয়; কিন্তু (বেসামরিক) কোনো ব্যাক্তি বা গোষ্ঠী যদি আমদের সেনাবাহিনীকে হামলা করে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে বা তাদের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।’
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীর্ঘ ২ মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অভিযানের শুরুর দিকে কেবল ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল রাশিয়া; কিন্তু রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে ইউক্রেনের সরকার সাধারণ বেসামরিক জনগণের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়, এবং বেসামরিক ও আবাসিক এলাকাগুলো থেকে রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপ শুরু করে।
ফলে, বিপুলসংখ্যক রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে ইতোমধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, অভিযানের গত দু’সপ্তাহে রুশ বাহিনীর ৬ হাজারেরও বেশি সেনা মৃত্যুবরণ করেছেন বলে ধারণা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজনকে অস্ত্র না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তারা অস্ত্র সম্বরণ করে— সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব হবে।’
ইউক্রেনের সরকার বেসামরিক স্থাপনা ও মানুষজনকে ‘ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে— এমন অভিযোগ এর আগেও কয়েকবার করেছিল রাশিয়া।
এদিকে, আলাপ-আলোচনা ও কূটনীতির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যকার সংকট সমাধানে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তুরস্কের আনতালিয়া শহরে শুরু হয়েছে এই বৈঠক।
সূত্র: স্পুটনিক