ভালোবাসা কোনো নিয়ম, নীতি কিংবা বাধা মানে না। জীবনে চলার পথে সে চিত্রই বারবার দেখা যায়। সেই তালিকায় রয়েছেন কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারও, যারা আগে বিবাহিত ছিলেন এমন নারীর প্রেমে পড়েছিলেন। এমনই পাঁচ জন খেলোয়াড়ের কথা তুলে ধরা হলো এখানে।
শিখর ধাওয়ান
ভারতীয় দলের ওপেনার শিখর ধাওয়ান নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত। ভারতীয় দলের এ ক্রিকেটারের উদাহরণ মাঠের বাইরেও দেওয়া হয়ে। শিখর ধাওয়ান প্রেমে পড়েছিলেন নিজের চেয়ে ১০ বছরের বড় এক বিদেশি নারীর। যদিও পরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শিখর ধাওয়ানের সাবেক স্ত্রী আয়েশা ধাওয়ান অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। পাশাপাশি একজন বক্সিং খেলোয়াড় এবং প্রথম বিয়ের পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এ দম্পতির একটি ছেলেও রয়েছে। গত বছর একে অপরের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
মোহাম্মদ শামি
ভারতীয় দলের তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি ২০১৪ সালে পেশায় মডেল হাসিন জাহানকে বিয়ে করেন। দুজনের একটি কন্যাসন্তানও আছে। গত বছর তাদের মধ্যে হওয়া ভুল বোঝাবুঝির পর জানা যায়, শামির স্ত্রী হাসিন জাহান আগে শেখ সাইফুদ্দিন নামে এক দোকানিকে বিয়ে করেছিলেন। এরপর ২০১০ সালে দুজনেই আলাদা হয়ে যান। তবু তা শামির প্রেমে বাধা হয়নি।
মুরলী বিজয়
এক সময় ভারতীয় টেস্ট দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার মুরলি বিজয় যখন তার সতীর্থের স্ত্রীকে বিয়ে করেন, তখন ক্রিকেট বিশ্বে নানা গুজব উঠে আসে। দুজনেই বেশ সমালোচিত হন। কিন্তু তারা একে অপরের সঙ্গ ছাড়েননি। মুরলি বিজয়, দীনেশ কার্তিকের সাবেক স্ত্রী নিকিতা ভাঞ্জরাকে বিয়ে করেছিলেন। এরপরই দীনেশ কার্তিককে ডিভোর্স দিয়েছিলেন নিকিতা।
অনিল কুম্বলে
ভারতীয় দলের সবচেয়ে সফল বোলারদের মধ্যে এক এবং নিশ্চিতরূপেই ভারতের সেরা স্পিনার ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে চেতনা রামাতীর্থকে বিয়ে করে সেই সময়ে একটি উদাহরণ তৈরি করেছিলেন অনিল। কারণ সেই সময় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া কোনো নারীকে বিবাহ করা এখনকার মতো স্বাভাবিকভাবে নেওয়া হতো না। চেতনা রামাতীর্থ তার প্রথম বিয়ের পর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন।
ভেঙ্কটেশ প্রসাদ
ভারতীয় দলের বোলার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ১৯৯৬ সালে জয়ন্তীকে বিয়ে করেছিলেন। বলা হয় এ দুজনের সাক্ষাতের পেছনে ছিলেন বোলার অনিল কুম্বলে। তবে ভেঙ্কটেশ আইয়ারও সেই সময় একজন বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া নারীকে বিয়ে করে নজির স্থাপন করেছিলেন।