বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

তামিমের ব্যর্থতার দিনে পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল ঢাকা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২২, ৪.১১ পিএম
  • ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি মিনিস্টার ঢাকার। নিজেদের খেলা প্রথম দুই ম্যাচের দুটোই হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করে তারা। ওই দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে জোড়া ফিফটি করেও দলকে বাঁচাতে পারেননি ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল। আজ (সোমবার) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ তামিম। ফিরেছেন শূন্য হাতে। আর এ ম্যাচেই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙল ঢাকা। 

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১২৯ রান জমা করে সাকিব আল হাসানের বরিশাল। ১৩০ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। তবে দলকে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেতে দেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আন্দ্রে রাসেল। তার ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেট এবং ১৫ বল হাতে রেখে এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।

বরিশালের জবাব দিতে নেমে শুরুটা হতশ্রী হয় ঢাকার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে পেসার শফিকুলকে তুলে মারতে গিয়ে বলের লাইন হারান তামিম। বল সরাসরি আঘাত করে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে ফরম্যাটের অধিনায়ক। পরের ওভারে জোড়া আঘাত বরিশালের পেসার আলজারি জোসেফের। নাঈম শেখকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলার পর জহুরুল ইসলামকে বোল্ড করেন তিনি।

নাঈম ৪ ও জহুরুল ০ রানে আউট হওয়ার পর ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদও একই পথ ধরেন শফিকুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে। ৭ বল খেলে ৫ রান করেন তিনি। দলীয় ১০ রানের কোটা ছুঁতেই ৪ উইকেট হারানো ঢাকার মাথায় তখন হ্যাটট্রিক হারের শঙ্কা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোক। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৬৯ রান।

শুভাগত ২৫ বলে ২৯ রান করে ব্রাভোর বলে আউট হলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ আর আন্দ্রে রাসেল। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বরিশালকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন রাসেল। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ফিফটির দিকে ছুলছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে স্কোর লেবেল করে সাজঘরে ফেরেন ৪৭ রানে।

পরে ৪ উইকেট এবং ১৫ বল হাতে রেখেই কাঙ্ক্ষিত ১৩০ রানে পৌঁছে যায় ঢাকা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাসেল অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। ১৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে।

পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ২৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরিশাল। চতুর্থ উইকেটে জুটিতে দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইল। তাদের ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাকিব আউট হলে। রুবেলের বলে মোহাম্মদ শাহজাদের হাতে ক্যাচ দেন বরিশালের অধিনায়ক। সাজঘরে ফেরার পথে ২টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৯ বলে ২৩ রান করেন।

করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ নিয়ে একাদশে ফেরা নুরুল হাসান সোহান রানের দেখা পাননি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে বাউন্ডারিতে জহুরুল ইসলামের হাতে ধরা পড়েন সোহান ৫ বলে ১ রান করে। ধারাবাহিক উইকেট হারাতে থাকা বরিশাল তাকিয়ে ছিল গেইলে ব্যাটের দিকে। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ক্যারিবীয়। ৩০ বলে ৩৬ রান করেন ৩টি চার ও ২টি ছয়ে।

এরপর দলের হাল ধরেন ব্রাভো। শেষদিকে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ২৬ বলের অপরাজিত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে। জিয়াউর রহমান, আলজারি জোসেফরা রান করতে ব্যর্থ হলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ ৮ উইকেট হারানো বরিশাল সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৯ রান। ঢাকার হয়ে রাসেল এবং উদানা ২টি করে উইকেট নেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com