প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের সাথে একটি ভিডিওকলে কথা বলার সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। মূলত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই মস্কোর বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। যদিও এসব নিষেধাজ্ঞা মস্কোকে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর পশ্চিমারা আশা করেছিল (নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে) দ্রুতই রাশিয়ার আর্থিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত হবে, বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে, ব্যাংকিং ব্যবস্থার পতন এবং দোকানে ঘাটতি দেখা দেবে। তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক হামলার এই কৌশল ব্যর্থ হয়েছে এবং রাশিয়ার পরিবর্তে ‘পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতির অবনতি’ হয়েছে।
আলজাজিরা বলছে, ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ নামে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর কর্পোরেট এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে।
‘রাশিয়া অভূতপূর্ব চাপ সহ্য করেছে” যুক্তি দিয়ে পুতিন বলেন, রুশ মুদ্রা রুবল শক্তিশালী হয়েছে এবং বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাশিয়া ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঐতিহাসিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রেকর্ড করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আত্মঘাতী গোলে পরিণত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একইসঙ্গে অর্থনৈতিক সূচকগুলো খারাপ হওয়ার পাশাপাশি ইউরোপীয় নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানের অধঃপতন এবং তাদের সঞ্চয় কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।
পুতিন দাবি করেন, তার দেশের মুদ্রাস্ফীতি স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করেছে।