বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য জায়েদ খান ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসিতে) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। ছলনা করায় জায়েদ খানের শপথ বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শুক্রবার (৪ মার্চ) শপথের দিন জায়েদ খান আমাকে কোর্টের একটি কাগজ দেখায়, যেটার ফটোকপি চাইলে ওইদিন আমাকে দেয়নি। পরে গড়িমসি করে রোববার (৬ মার্চ) কাগজটি পেয়েছি। কিন্তু কাগজ কয়েকদিন আগে (২ মার্চে) যে রায় হয়েছে সেটির নয়, সেটি গত ৯ ফেব্রুয়ারির।’
শিল্পী সমিতির এই সভাপতি আরও বলেন, ‘এর মানে জায়েদ খান শপথ নেওয়ার জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন। যেহেতু জায়েদ খান সত্যের বিপরীতে গিয়ে ছলনার আশ্রয় নিয়েছেন, সভাপতি ও শিল্পী সমিতিকে ধোকায় ফেলেছেন, সেহেতু জায়েদ খানের শপথ আর কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বাতিল হয়ে গিয়েছে।’
ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, শপথের দিন সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কমিটির ৭ জন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হয়, কিন্তু জায়েদ খানের শপথ বাতিল হওয়ায় ঔদিনের কোরাম অপূর্ণ থেকে গেল, তাই ওই মিটিংও বাতিল হয়ে গিয়েছে। এছাড়া জায়েদ খান ছলনার আশ্রয় নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যে চলমান আইনি জটিলতা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে। এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আপিল করেন নিপুণ। সব মিলে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়।