নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা। তারা বলেন, দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, ভোটাধিকার ও দুঃশাসনের অবসানে দেশবাসীকে জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। সিপিবি ১০-১৬ মার্চ দেশব্যাপী সমাবেশ বিক্ষোভ করবে। এরপর বামপন্থী দল, ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনে হরতাল কর্মসূচি দেবে।
রোববার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন মুক্তিভবনে সিপিবির ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দেশে বৈষম্য চরম আকারে ধারণ করেছে। বিজয়ের ৫০ বছরেও দেশের মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। বরং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থনীতির বিপরীত ধারায় পরিচালিত করা হচ্ছে।
বামপন্থীদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ ঘটাতে হবে উল্লেখ করে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলেন, বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় না আনতে পারলে, মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না, বরং দুঃশাসন চলবে। এক দুঃশাসনের পরিবর্তে আরেক দুঃশাসন আসবে। মানুষের মুক্তি আসবে না।
আলোচনা সভায় সিপিবির নেতারা বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী হাজার হাজার কমিউনিস্টকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, সাম্প্রদায়িকতা-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী লড়াই, জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবির নিষিদ্ধের আন্দোলন, চলমান দুঃশাসনের অবসানসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামেই সিপিবি অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। এখনও পালন করে চলেছে।
বিনা ভোটে তথাকথিত নির্বাচিত সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ কম খেয়ে বেঁচে থাকার পথের সন্ধান করছে। আর একদল মানুষ টাকার পাহাড় গড়ে তুলছে। ওই টাকা পাচার করে বিদেশে দ্বিতীয় বাড়ি গড়ে তুলছে। এ অবস্থা পরিবর্তন করতে গণবিরোধী এ সরকারকে হটাতে হবে। পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে। এজন্য গণআন্দোলন গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে
সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাবেক সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, মনজুরুল আহসান খান প্রমুখ।