চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজয়ের জেরে প্রবাসী মোহাম্মদ ইউসুফ আলীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আজগর আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ইউসুফ জয়ী মেম্বার প্রার্থী তৈয়বের ভাই।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
নূরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার আজগরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইউসুফকে হত্যার পর তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউসুফ হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আজগর।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন ইউসুফ। বগাবিলি ব্রিজের কাছে পৌঁছালে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে অতর্কিত এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি ইউসুফের স্ত্রী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইউসুফ। এতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটি তখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
র্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার বলেন, গত ২৮ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানার ১ নম্বর রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৈয়ব মেম্বার ও আজগর আলী। নির্বাচনে আজগর আলী পরাজিত হন। এ ক্ষোভ থেকেই আজগর আলী বেশ কয়েকবার তৈয়ব মেম্বারের ওপর হামলা করেন। সর্বশেষ তৈয়ব মেম্বারের প্রবাসী ভাই ইউসুফ আলীর ওপর হামলা করা হয়। তিনি ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
তিনি বলেন, প্রবাসী ইউসুফ মারা যাওয়ার পর তার ভাই তৈয়বকে কয়েকবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছেন আজগর। এমনকি মামলা তুলে না নিলে ভাইয়ের মতো পরিণতি করারও হুমকি দিয়েছিল আজগর। গ্রেপ্তার আজগরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।