দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো গত ২১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বিশ্বে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।
নতুন করে আবার দীর্ঘ বন্ধের আশঙ্কায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরাও বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে নাকি বন্ধের সময় বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে নাকি আবার বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে সে আলোকে আমরা শুধু বাস্তবায়ন করব।
এ বিষয়ে করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে, আমরা দ্রুতই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসব।
উল্লেখ্য, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম এবং অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রমও চলছে দ্রুত গতিতে।