এস.ইসলামঃ
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের সপ্তম দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে গাড়ির চাপ বেড়েছে।
মঙ্গলবারে (২০ এপ্রিল) সকালে রায়েরবাগ ও শনিরআখড়া এলাকা সড়কে গাড়ির চাপ নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
চেকপোস্ট থেকে মুভমেন্ট পাস, অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজন, জরুরি সেবা দানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ছাড়া কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ।
রায়েরবাগ ও শনিরআখড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অফিস ও কল-কারখানা খোলা থাকায় বের হয়েছেন অফিসগামীরা। যারা চেকপোস্টে সঠিক জবাব দিচ্ছেন তাদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আর যারা পারছেন না তাদের বাসায় যেতে বলা হয়েছে।
রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে নজরুল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার ছেলে খুবই অসুস্থ। হাসপাতালের কাগজপত্র দেখানোর পর পুলিশ রিকশা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।’
শনিরআখড়া চেকপোস্ট থেকে এমএ রশিদ বলেন, ‘আমি একটি সংবাদপত্র অফিসে চাকরি করি। পুলিশকে আইডি কার্ড দেখানোর পর আমাকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে রিকশা ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুণ। আগে ১০০ টাকায় পল্টন যেতাম এখন আড়াইশো টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।’
‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের শনিরআখড়া ও রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার এবং রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও কোথায় যাবেন জানতে চাচ্ছেন।’
রায়েরবাগ চেকপোস্টে দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এসআই হায়দার হোসেন বলেন, ‘কাজ ছাড়া যারা বাসা থেকে বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছি। যাদের মুভমেন্ট পাস আছে, জরুরি সেবার জড়িত অথবা রোগি ও তাদের স্বজনদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।’