হিজড়া জনগোষ্ঠি হচ্ছে সমাজের তৃতীয় লিঙ্গ
এড়া আমাদের পরিবারেরই একজন সদস্য।ওদের
ঘৃনা করে দূরে সরিয়ে না দিয়ে আসুন কাছে টেনে নেই।
মোঃ আলমগীর সেলিমঃ
“তৃতীয় লিঙ্গ” শব্দটিও বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে হিজড়া হিসাবে বর্ণনা করা হয় যারা আইনি পরিচয় অর্জন করেছে ।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু স্বীকৃতি দিলেই হবে না, তা বাস্তবায়নে নীতি ও আইন প্রণয়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে নিয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব, তার পরিবর্তন ঘটাও জরুরি।
দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব তালিকা অনুযায়ি হিজড়া আছে ২২ হাজারের মতো।তবে তালিকায় ভাবরাজ হিজড়ার সংখা খুব কম, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা কোনো সমস্যা নয়। প্রয়োজন সদিচ্ছার। হিজড়া জনগোষ্ঠীর মনোজগৎ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের স্পষ্ট ধারণা নেই। পরিবারে বাবা-মাসহ অন্যরা এদের মানসিক নির্যাতন করছেন। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো জরুরি।
হিজড়া জনগোষ্ঠীকে শুধু লিঙ্গ ও যৌনভিত্তিক পরিচয় দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিকভাবে বুঝতে হবে। বৈষম্যের শুরু হয় পরিবার ও স্কুল থেকেই।
হিজড়ারা কোনো এলিয়েন বা ভিনগ্রহের বাসিন্দা নয়। তারা কারও সন্তান, ভাই-বোন। হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সম্মানিত করা হলে তারা আর রাস্তায় গিয়ে টাকা তুলবে না। তখন তাদের আত্মসম্মানে লাগবে।
হিজরারা আমাদের সমাজের একটি অংশ। তাদের রয়েছে নিজস্ব পরিবেশ, আচার-আচরণ,সামাজিক, সাংস্কৃতি আত্নমর্যাদা ।