বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর গাবতলীতে দীর্ঘদিন যাবৎ আবাসিক হোটেলে চলছে নারীদের দেহব্যবসা। ‘হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন’-এর অপরাধ অনুসন্ধানকারী দারুস সালাম থানায় একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেন।
ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে ‘হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন’-এর অপরাধ অনুসন্ধানকারী জানান,’হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন’ নামক মানবাধীকার সংস্থার কর্মীগন দীর্ঘদিন যাবৎ দেশ ও জনস্বার্থে মাঠ পর্যায়ে নানবিধ অপরাধীদের সনাক্ত করে তাহা নির্মূলের লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তথ্যদিয়ে সহায়তা করে আসছে। সংস্থ্যার কার্যক্রম অব্যহত থাকা কালীন গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে দারুস সালাম থানাধীন গাবতলি বাস টার্মিনাল-এর উল্টো পার্শ্বে যমুনা আবাসিক হোটেল (সাবেক বলাকা), স্বাগতম আবাসিক হোটেল (সাবেক মধুমতি), হিমালয় আবাসিক হোটেল (সাবেক চৌধুরী) ও দ্বীপনগর-এ নিউ গার্ডেন গেষ্ট হাউস। নারী পাচারকারী ৮০/৯০ জন এর একটি চক্র দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে নান ধরনের প্রলোভনে হোটেল গুলোতে প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত মেয়ে মানুষদের এনে হোটেলে আটক করে নানা কৌশলে সংগ্রহকৃত মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্দে জোর পূর্বক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে নিজেরা গনধর্ষন করে একপর্যায়ে তাদের আদেশ নির্দেশের কীরনক বানিয়ে উক্ত চক্রের অন্যত্র বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে ঐ সকল শিশু, কিশোরী,যুবতী মেয়েদের দিয়ে নারী ঘটিত অসামাজিক কার্যকলাপ করানো হচ্ছে ।
অপরাধ অনুসন্ধানকারী বলেন, উক্ত আবাসিক হোটেলগুলোতে ১২-১৩ জন মেয়ে মানুষ রাখিয়া প্রতিনিয়ত অসামাজিক র্কাযকলাপ করাচ্ছে । সেখানে র্ধষণ-গণর্ধষণ এর শিকার হওয়া মেয়েরা প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। কারন হচ্ছে হোটেলের হোল্ডিং মালিক, হোটেল মালিক ও স্টাফ পরিচয়দানকারি দালাল এবং পাচারকারী চক্র প্রভাবশালী।
অপরাধ অনুসন্ধানকারী জানান, নারী পাচারকারী চক্রের হাত হতে হোটেলগুলতে আটক থাকা শিশু, কিশোরী, যুবতী মেয়েদের উদ্ধার করে তাদের নিজ পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য থানায় লিখিত আবেদন দিয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ শাহজাহান, জূলহাস, জাহাঙ্গির, হারুন, আনোয়ার, শুভ, জীবন, রাসেল, চঞ্চল, আশিকসহ অনেকে বলেন, পুলিশ মাঝে-মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে পেশাদার দেহজীবি ও খদ্ধের ধরে নিয়ে মামলা বা সাধারন ধারায় আদালতে পেরণ করেন। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে এসে পূনঃরায় আবার তাদের অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
তাহারা আরো বলেন, অপরাধ কর্মটি টিকিয়ে রাখার জন্য কখনও হোল্ডিং মালিকদের বিরুদ্ধে তেমন কোন মামলা দেওয়া হয়না।
একাধিক বার দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোবাইলে ফোন দিলে মোবাইলটি রিসিভ না করায় তাহার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
০১৩২০০৪১২৯২ ইন্সপেক্টর অপারেশন মোবাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ-এর সাথে কথা বলেন।
ইন্সপেক্টর তদন্তকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন কোথায় কোথায় হোটেলগুলো চলে আমাদেরকে জানান আমরা ব্যবস্থ্যা নিব। কিছুক্ষন পর ০১৩২০০৪১২৯১ এই নাম্বার হতে নিউজটি না করার ইনগিতে অফিস-এর ০১৯১১৪০০০৯৫-এ নাম্বারে ফোন করে ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রতিবেদককে তার থানায় গিয়ে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত দারুস সালাম থানা পুলিশ হোটেলগুলোতে চলা অসামাজিক কার্যকলাপ ও ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কোনরকম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।