সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
তিতাসে সেতুর মাঝে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল কাকরাইল থেকে ১৪ ‘তথ্য আপা’ আটক ১০০ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন, খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা মাদক ব্যবসায়ীদের চাপাতির কোপে ৪ যুবদল কর্মী হাসপাতালে মে মাসে দেশে ৮৬ নারী ও শিশু হত্যা: এমএসএফ আমরণ অনশনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা পার্কের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকানো গ্রেনেড-গুলি উদ্ধার আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দার জুয়েল গ্রেফতার সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ সম্প্রতি একটি অনিবন্ধিত ভূঁইফোড় অনলাইন কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা নামের এক ফেইসবুক মিডিয়া পেইজে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর পোষ্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত ২৬ মে ২০২৫ ইং তারিখে উক্ত মিডিয়ার “কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র সাংবাদিক আবু মুসাকে মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে জেলে পাঠালেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ উল্ল্যাহ” এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ওসি মো. শহিদ উল্যাহ। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, গত ২৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় তিতাস থানাধীন ০৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামস্থ বাদীর বসত বাড়ীর সামনে রাস্তা হইতে মোহাম্মদ সাজিম হাসান(২২) নামের এক ব্যক্তিকে অপহরন করিয়া নিয়া আটক পূর্বক তাহার পরিবারের নিকট মুক্তিপন হিসাবে ১,৫০,০০০/-টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে ২৬/০৫/২০২৫ইং তারিখ আসামীগন ভিকটিমকে নিয়া অত্র থানাধীন আসামানিয়া বাজারে আসিলে ভিকটিম চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ০২ জনকে আটক করিয়া থানায় ফোন করিলে থানার টহল টিম ঘটনাস্থল হইতে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক এজাহার নামীয় ০২জন আসামীকে আটক করে। আটককৃত আসামী মোঃ আবু মুছা(৩৫), পিতা-মৃত দুলাল মুন্সী, মাতা-নাছিমা বেগম, সাং-সিংগুলা (মুন্সী বাড়ী), ইলিয়টগঞ্জ (উত্তর) ইউপি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা নিজেকে ক্রাইম বার্তার সাংবাদিক বলিয়া পরিচয় দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা জাহিদ আটক আসামী আবু মুসা ও ডাকাতি মামলার আসামী আঃ গাফ্ফারসহ অন্যান্য আসামীগন ভিকটিমকে অপহরন করে আসামী আবু মুসার বাড়ীতে আটকিয়ে মারধর, মুক্তিপন দাবী, মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভিকটিমের পিতার এজাহারের প্রেক্ষিতে তিতাস থানার মামলা নং-১৭, তারিখ২৬/০৫/২০২৫ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩৬৫ /৩৮৫/৫০৬/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া ধৃত আসামীদ্বয়কে যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কেহ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা একটি অনলাইন পেইজ থেকে বিভ্রান্তিমূলক, ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। অনলাইন পেইজ থেকে পাঠানো পোষ্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদটি আপনাদের প্রতিবাদী কলমে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এদিকে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র অনলাইন পেইজ থেকে প্রকাশিত পোষ্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিতাসের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এবং উক্ত ঘটনায় মূসার আটকের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেটিজনদের অনেকেই কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা ফেইসবুক পেইজটি ভুয়া সংবাদ প্রচার করে মানুষের নামে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং তাদের পেইজে কর্মরত সাংবাদিক পরিচয়ধারী মূসা চাঁদাবাজি করে বেড়ায় সে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে মন্তব্য করতে দেখা যায়, পরিশেষে এসব অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সাধারন জনগন। মো. সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা। মোবাইল: 01400394838 তারিখ: ৩০/০৫/২০২৫ইং নিউজের সাথে ওসির ছবি ও বিবৃতির স্কিনসর্ট দেওয়া আছে।

“এইচ আর এইচ এফ” সহায়তায় পাচারকারীর হাত থেকে মুক্তি পেল নারী

  • আপডেট সময় রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩, ২.২৫ এএম
  • ৪১০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আলমগীর (সেলিম)ঃ
অবশেষে “হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন” নামক সংস্থার উদ্যোগে সৌদি আরব হতে পূর্ণিমা রানী বর্মন পাচারকারীদের হাত হতে মুক্তি পেলোসূত্রে জানা যায় পূর্ণিমা রানী বর্মন নামে এক নারী জীবকা নির্বাহের তাগিদে চাকুরী করার জন্য দালালের মাধ্যমে যোগাযোগ শেষে সৌদিআরব যায়। সেখানে যাওয়ার পরই মেয়েটি জানতে পারে সে একটি অসাধু লোকের চক্রে পড়ে সৌদি আরবে কৌশলে বৈধ ভিসায় পাচার হয়েছে। তার উপর নেমে আসে নানা ধরনের নির্যাতন, তখন ধৈর্য্যে বাদ ভেঙ্গে যাওয়ার পর বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে ঘটনা খুলে বলে তখন তার পিতা দালালদের সাথে বার বার যোগাযোগ করে তার মেয়েকে দেশে এনে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নানা আকুতি মিনুতী করে এতে রিক্রুটিং এজেন্সী দালালরা পিতা শুকলাল চন্দ্র বর্মন এর নিকট মোটা অংকের টাকা দাবী করে, টাকা দিতে পারলে তার মেয়েকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে পরিবারের হাতে তুলে দিবে। শুকলাল চন্দ্র বর্মন জানান তিনি জেলে সম্প্রদায়ের লোক, তাদের অভাব অনটনের সংসার, কোনমতে নদীতে মাছ ধরে দিন যাপন করে। দালালদের চাহিদা মতো ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা দিতে না পারায় তার মেয়েকে বিদেশে থেকে ফেরত এনে দেয় না। তখন শুকলাল চন্দ্র বর্মন একটি লিখিত অভিযোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরাষ্ট্র সচিব,মহা-পুলিশ পরিদর্শক ও হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন-সংস্থার বরাবরে লিখিত আবেদনপত্র প্রেরণ করেন। আবেদনে তিনি যাহা উল্লেখ করেন-

আমি শুকলাল চন্দ্র বর্মন এই মর্মে আবেদন করিতেছি যে, ১০ মাস আগে নাছিমা নামে এক মহিলা আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে বাসা-বাড়িতে কাজ দেওয়ার কথা বলে ডি.এম.পির কোতয়ালী থানাধীন হোটেল বি-বাড়িয়া আবাসিক-১৯, আকমল রোড, (৩য় তলায়) একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখান হতে একদিন পর ডি.এমপির পল্টন থানাধীন নয়া পল্টন, ৫৩,ডি.আই.টি এ এক্সটেশন রোড, (২য় তলা) নয়া পল্টন, ঢাকা এর ডায়মন্ড টুরস এন্ড ট্রাভেলস, সিভিল এভিয়েশন লাইসেন্স নং-১৩২১৯, আমিন এন্ড সন্সস ইন্টারন্যাশনাল, আর.এল-১৪৮৮, মোবাইল-০১৮৩৬৫২৫৪৪৩, ফোন-০২-২২২২২৯১৮১, প্রোপ্রাইটর : মোঃ শাহাপরান ইসলাম এর কাছে নিয়ে যায়। উক্ত মোঃ শাহাপরান ইসলাম গং দেশ বিদেশের এজেন্টেদের সাথে  পরামর্শ করে এবং ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা মাসিক বেতন হবে বলে সৌদী আরবে বাসা-বাড়ির কাজের কথা বলে একপর্যায়ে পূর্ণিমা রানী বর্মন, পরিচয় পত্র নং-১৯৩০১৩২৭০০১০০০০৩১, পাসপোর্ট নং-অ০৩৪৭৯১০২, ভিসার শেষ ৫টি ডিজিট-৯৩৩৮৪, তারিখে-২৭/০৬/২০২২ইং ৭.১৫ মিনিটে সময় বাংলাদেশ হতে সৌদে আরবে পূর্ণিমাকে পাঠায়, যাহার ফ্লাইট টিকেট নং-৫২৪৩৩৪০৪৬৫, বিমান নম্বর অজ্ঞাত। সৌদিতে মোঃ শাহাপরান ইসলাম গংরা পাঠানোর পর তাকে নিয়ে বাসা-বাড়িতে কাজ না দিয়ে সেখানকার এজেন্টরা পূর্ণিমা রানী বর্মনকে নিয়ে তাদের একটি আবাসিক বাড়ির অফিসে  রেখে সেখানকার বিভিন্ন পুরুষদের সাথে পূর্ণিমা রানী বর্মনকে অবৈধ মেলা-মেশা, যৌণ কাজে লিপ্ত করানোর চেষ্টা করে। এতে পূর্ণিমা রানী বর্মন খারাপ কাজ করতে রাজি না হলে তাকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে বলে বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সীর মোঃ শাহাপরান ইসলাম গংদের কাছ হতে অনেক টাকা দিয়ে তারা পূর্ণিমা রানী বর্মনকে কিনে নিয়ে গেছে। তাই সে টাকা তুলতে পূর্ণিমা রানী বর্মনকে খারাপ কাজ করানোর জন্য নানা ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। আমার মেয়ে পূর্ণিমা রানী বর্মন এর কাছে হতে এমন সংবাদ জানার পর আমি নাছিমা ও মোঃ শাহাপরান ইসলাম এর সাথে দেখা করে বিষয়টি বলি। নাছিমা বলে পূর্ণিমা রানী বর্মন এর উপর নির্যাতনের বিষয়টি আমরা দেখতেছি। এরপর হতে প্রায় ৬/৭ মাস আমার মেয়ে পূর্ণিমা রানী বর্মন-এর সাথে আমাদের আর কোন যোগাযোগ হয়নি। আমি নিরুপায় হয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি ও আদম ব্যাপারীদেরকে বলি পূর্ণিমা রানী বর্মন-এর সাথে আমাদের কথা বলিয়ে দেন তারপরও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। উল্টো আমি হিন্দু বলে রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিক ও দালালরা নানাভাবে আমাকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং  বলে পূর্ণিমা রানী বর্মনকে আনতে হলে রিক্রুটিং এজেন্সীর ক্ষতিপূণ বাবদ ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা দিতে হবে নয়তো পূর্ণিমা রানী বর্মন আর কোনদিন বাংলাদেশে আসবে না এরই মধ্যে হঠাৎ প্রায় ১ মাস আগে পূর্ণিমা রানী বর্মন সৌদি হতে ঐ দেশের এক লোকের নম্বর হতে আমার বাংলাদেশী নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং বলে বাবা আমাকে তোমরা বাঁচাও, নইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি সৌদিতে এসে তোমাদের কাছে আমার নির্যাতনের বিষয়টি জানাইছিলাম বিধায় তারা আমাকে কোন মোবাইল দেয় না বরং একটি রুমে তালা মেরে রাখে। তাদের কথামতো না চললে নানাভাবে শারিরীক মানুষিক নির্যাতন করে। আমাকে কোন বাসা-বাড়ির কাজ দেয় নাই ও এখানে আসার পর কোন বেতনও দেয়নি। মোঃ শাহাপরান ইসলাম গংরা আমাকে সৌদিতে বিক্রি করে দিয়েছে। এখানে আমার মতো অনেক বাংলাদেশী মেয়ে আছে তাদেরকেও মোঃ শাহাপরান ইসলাম, নাছিমা ও আনোয়ার গংরা ঐ সকল মেয়েদের বিক্রি করে দিয়েছে। তাদের দিয়ে এখানে পতিতা ব্যবসা করানো হয়। এখানকার এজেন্টদের কাছে বাংলাদেশী শত শত মেয়ে রয়েছে এদেশের এজেন্টদের বাড়িতে বন্দী অবস্থায় ঐদেশের এজেন্টরা বাংলাদেশের মোঃ শাহাপরান ইসলাম গংদের কাছ হতে যে সকল মেয়েদের এদেশে আনে তাদের প্রথমেই তাদের নির্দিষ্ট দাcnলালের মাধ্যমে মেয়েদের সংগ্রহ করে উক্ত বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাখে পরবর্তীতে মেয়েদের ফুসলিয়ে হোটেল মালিক কর্মচারী দালালদের সহায়তায় মোঃ শাহাপরান ইসলাম গংদের কাছে নিয়ে যায় এবং বিদেশে পাঠায় মর্মে উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা “হিউম্যান রির্সোস এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন” এর পক্ষ হতে শুকলাল চন্দ্র বর্মনকে সাথে নিয়ে সংস্থার কর্মীগন ডিএমপির পল্টন ও কোতয়ালী থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে পূর্ণিমা রানী বর্মনকে দেশে ফিরিয়ে আনার নানাবিধ প্রচেষ্টার পর অবশেষে মেয়েটি পরিবারের কাছে ফির এল ।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ সম্প্রতি একটি অনিবন্ধিত ভূঁইফোড় অনলাইন কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা নামের এক ফেইসবুক মিডিয়া পেইজে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর পোষ্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত ২৬ মে ২০২৫ ইং তারিখে উক্ত মিডিয়ার “কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র সাংবাদিক আবু মুসাকে মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে জেলে পাঠালেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ উল্ল্যাহ” এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ওসি মো. শহিদ উল্যাহ। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, গত ২৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় তিতাস থানাধীন ০৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামস্থ বাদীর বসত বাড়ীর সামনে রাস্তা হইতে মোহাম্মদ সাজিম হাসান(২২) নামের এক ব্যক্তিকে অপহরন করিয়া নিয়া আটক পূর্বক তাহার পরিবারের নিকট মুক্তিপন হিসাবে ১,৫০,০০০/-টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে ২৬/০৫/২০২৫ইং তারিখ আসামীগন ভিকটিমকে নিয়া অত্র থানাধীন আসামানিয়া বাজারে আসিলে ভিকটিম চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ০২ জনকে আটক করিয়া থানায় ফোন করিলে থানার টহল টিম ঘটনাস্থল হইতে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক এজাহার নামীয় ০২জন আসামীকে আটক করে। আটককৃত আসামী মোঃ আবু মুছা(৩৫), পিতা-মৃত দুলাল মুন্সী, মাতা-নাছিমা বেগম, সাং-সিংগুলা (মুন্সী বাড়ী), ইলিয়টগঞ্জ (উত্তর) ইউপি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা নিজেকে ক্রাইম বার্তার সাংবাদিক বলিয়া পরিচয় দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা জাহিদ আটক আসামী আবু মুসা ও ডাকাতি মামলার আসামী আঃ গাফ্ফারসহ অন্যান্য আসামীগন ভিকটিমকে অপহরন করে আসামী আবু মুসার বাড়ীতে আটকিয়ে মারধর, মুক্তিপন দাবী, মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভিকটিমের পিতার এজাহারের প্রেক্ষিতে তিতাস থানার মামলা নং-১৭, তারিখ২৬/০৫/২০২৫ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩৬৫ /৩৮৫/৫০৬/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া ধৃত আসামীদ্বয়কে যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কেহ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা একটি অনলাইন পেইজ থেকে বিভ্রান্তিমূলক, ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। অনলাইন পেইজ থেকে পাঠানো পোষ্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদটি আপনাদের প্রতিবাদী কলমে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এদিকে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র অনলাইন পেইজ থেকে প্রকাশিত পোষ্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিতাসের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এবং উক্ত ঘটনায় মূসার আটকের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেটিজনদের অনেকেই কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা ফেইসবুক পেইজটি ভুয়া সংবাদ প্রচার করে মানুষের নামে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং তাদের পেইজে কর্মরত সাংবাদিক পরিচয়ধারী মূসা চাঁদাবাজি করে বেড়ায় সে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে মন্তব্য করতে দেখা যায়, পরিশেষে এসব অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সাধারন জনগন। মো. সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা। মোবাইল: 01400394838 তারিখ: ৩০/০৫/২০২৫ইং নিউজের সাথে ওসির ছবি ও বিবৃতির স্কিনসর্ট দেওয়া আছে।

© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com