দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম বন্ধ এবং পুনঃতদন্ত ও পুনরায় সাক্ষীর জেরা চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মোশাররফের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এর ফলে এ মামলায় পুনরায় সাক্ষীকে জেরার সুযোগ যেমন রইলো না, একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলটি চলতেও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে দুদকের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এর আগে ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি রমনা থানায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
দুদকের দায়ের করা এ মামলায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাস পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে মোশাররফের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে তার ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ অ্যাকাউন্টে (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশি কোনও নাগরিককে বিদেশের কোনও ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তিনি তা না করে বাংলাদেশে উপার্জিত এ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যা অর্থপাচার আইনে অপরাধ।