দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মো. জুলফিকার আলী। বরিশালের বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহে গফরগাঁওয়ে। ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তানের জনক তিনি।
স্ত্রী ও সন্তানসহ ঢাকার খিলক্ষেতে থাকতেন জুলফিকার। পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়ে বরিশালে বদলি হন। ইচ্ছা ছিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বদলি হয়ে পুনরায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করবেন।
প্রধান কার্যালয়ে আসলেন ঠিকই। কিন্তু যখন আসলেন তখন কর্মজীবন কিংবা পার্থিব জীবনের মায়া ত্যাগ করে। নিথর দেহে সহকর্মীদের কাঁধে চার পায়া খাটিয়ায় চড়ে দুদক চত্বরে এসেছেন জুলফিকার আলী জুয়েল।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় দুদক কার্যালয়ে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, কমিশনার মোজাম্মেল হক খান ও জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানাজায় অংশ নেন।
জনাজার আগে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ তার আত্মার শান্তি কামনায় সবার কাছে দোয়া চান। এছাড়াও তার ব্যাচমেট পরিচালক আকতার হোসেন ও উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদাসহ সহকর্মীরা জুলফিকার আলীর কর্মজীবনের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। তারা জুলফিকার আলীর দক্ষতা ও সততার প্রশংসা করেন।
বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুদক পরিচালক মো. জুলফিকার আলী।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জুলফিকার আলী গত জানুয়ারিতে বরিশালে বিভাগীয় অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রথম অসুস্থ হন। প্রথমে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ভারতের হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা নেন। তিনি দুরারোগ্য লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
জুলফিকার আলী ছোটবেলা কেটেছে ঢাকার মহাখালী এলাকায়। পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা হিসেবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে ১৯৯৫ সালে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে উপ পরিচালক ও ২০১৯ সালে পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।