আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনারারি শিক্ষক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি একাধারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাডভাইজরি প্যানেলের বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক র্যালি শেষে আলোচনা সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য কন্যা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অটিজম বিশেষজ্ঞ, স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল আমাদের এখানে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমে (ইপনা) অনারারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এসময় অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য বিগত সময়ের চেয়ে বেশি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১৭ জন অটিজম সংক্রান্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন রয়েছে। আমাদের এখানে অটিজম নিয়ে শিক্ষা- প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তা না করে এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।
অভিভাবকদের সচেতনতার উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, শিশুর আচরণ কিংবা চলাফেরায় কোনো ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখতে পান, তবে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত আমাদের এখানে নিয়ে আসবেন। আমরা শিশুদের দ্রুত স্ক্রিনিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। শিশু যদি অটিজম আক্রান্ত হয় তবে কেউ মন খারাপ করবেন না। স্টিফেন হকিংসের মত বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের অনেকেই অটিজম আক্রান্ত বিশেষ শিশু ছিলেন। অটিজম শিশুরা যদি সঠিক পরিচর্চা পান তবে তারা অনেক স্বাভাবিক শিশুর থেকেও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠেন।
এর আগে সকাল থেকে ‘এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি’ স্লোগানকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস -২০২২ পালিত হয়েছে। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিবসটি উপলক্ষে এক র্যালির আয়োজন করে ইপনা। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের (বি ব্লক) সামনে থেকে শুরু হয়ে বটতলা, টিএসসি, ডি ব্লক অতিক্রম হয়ে এফ ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, উপ উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইপনার উপ পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, ইপনার উপ পরিচালক (একাডেমিক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, নিউরোলজিস্ট ডা. মাজহারুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।