গত বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে তিন ফরম্যাটেই জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর আলোচনা তুঙ্গে, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ চুক্তির মেয়াদে কিন্তু ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খেলার বাইরেই থাকবেন সাকিব। তার ওপর টেস্ট খেলতে না চাওয়ার আবদার জানিয়েছেন আগেই। তবুও কেন তিন ফরম্যাটের চুক্তিতেই রাখা হলো সাকিবকে?
আজ (শুক্রবার) মিরপুরে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে ঘুরেফিরে সাকিবের হয়ে কথা বলেছেন দুই জনই। যুক্তি দেখিয়েছেন, সাকিবকে কেন রাখা হয়েছে তিন ফরম্যাটে।
প্রধান নির্বাচক ন্নানু বলেন, ‘ও (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্রাম নিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে। তারপর থেকে ও এভেইলেবল। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই ও এভেইলেবল আছে। সাকিব অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের একজন। ওর কাছে সবসময় সেরাটাই আমরা চাই। সেজন্য তাকে তিন ফরম্যাটেই রাখা হয়েছে। যেহেতু এ বছর আমাদের অনেক খেলা আছে। আগামী এক বছর আমরা সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাচ্ছি।’
যোগ করেন নান্নু, ‘আমরা প্রায় এক মাস আগে এই তালিকা জমা দিয়েছি। সাকিব আসলে অবশ্যই কথা বলব। ২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। সে হিসাবে আমাদের অনেক খেলোয়াড় লাগবে। সেরা খেলোয়াড়কে আমরা সবসময়ই তিন ফরম্যাটে চাই। আশা করছি রিফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে তিন ফরম্যাটেই খেলবে।’
সাকিবকে নিয়ে প্রশ্ন শুনে তো এক পর্যায়ে মেজাজই হারালেন রাজ্জাক। সংবাদমাধ্যমকে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, আমাদের জায়গায় আপনারা থাকলে কী করতেন?
পরে নিজেকে সংযত করে রাজ্জাক বললেন, ‘৬ মাসের (টেস্ট থেকে) ছুটির যে কথা বলছেন তা আনুষ্ঠানিক কিছু না। যেহেতু আনুষ্ঠানিকতা নেই, কেউ দুইটা সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না এটা না। এখানে সিস্টেম হলো- বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাকিব কিন্তু কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি। সাকিব এই মাপের খেলোয়াড় যে নিজে থেকে কোনো ফরম্যাট থেকে সরে না গেলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া কঠিন।
সাকিব ৩ ফরম্যাটে থাকলেও তামিম ইকবাল আছেন ২ ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টিতে জায়গা হয়নি তার। কারণ আগামী ৬ মাস এই ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ছেন তামিম। নির্বাচকরা বারবার উল্লেখ করেছেন, সাকিব সেরা ক্রিকেটার জন্য ৩ ফরম্যাটে রাখা হয়েছে। তবে তামিমকে কেন নয়? তিনিও তো সেরাদের একজন। টি-টোয়েন্টি ফিরতে পারেন আবার।
জবাবে নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘এখানে একটা সিস্টেম আছে- যে যে ফরম্যাটে অফ আছে এখন, তামিম যদি ঐ ফরম্যাটে দলে অন্তর্ভুক্ত হয় সেও বেতনের আওতায় চলে আসে। এখানে আক্ষেপের কিছু নেই। তামিম ৬ মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে অন্তর্ভুক্ত হলে অবশ্যই বেতনভূক্তদের তালিকায় ঢুকে যাবে।