ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি সাক্ষাৎকার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। রোববার (২৭ মার্চ) রাশিয়ার যোগাযোগ পর্যবেক্ষক বিষয়ক সংস্থা জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার প্রচারে বিরত থাকতে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্দেশনা দেয়।
এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নেওয়া রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বিষয়ে তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে রাশিয়ার এই যোগাযোগ পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়ার সংবাদাধ্যমগুলোর একজন উপস্থাপক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
রাশিয়ার এই যোগাযোগ পর্যবেক্ষক সংস্থার নাম রোসকোমনাদজোর। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের এই সংস্থাটি যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি এবং গণমাধ্যমের তত্ত্বাবধান করে থাকে। সংক্ষেপে রোসকোমনাদজোর নামে পরিচিত রাশিয়ার ফেডারেল নির্বাহী এই সংস্থা রুশ গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সেন্সরও করে থাকে।
রোববার দেওয়া সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভলোদিমির জেলেনস্কির সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রুশ মিডিয়াকে সতর্ক করছে রোসকোমনাদজোর।’
অবশ্য সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার কথা বলে কেন এই সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে সেটি উল্লেখ করেনি সংস্থাটি। রয়টার্স বলছে, রুশ প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, সাক্ষাৎকারে দেওয়া বিবৃতি এবং সাক্ষাৎকার প্রকাশের বৈধতার বিষয়ে আইনি মতামত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।
সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রকাশনার সঙ্গে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।