রাশিয়ার সৈন্যরা নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করতে পারে বলে জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে শক্তিশালী সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করছে রাশিয়া।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের গণহত্যার সময় বেঁচে যাওয়া ৯৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার অবিরাম গোলাবর্ষণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার খারকিভে নিজ ফ্লাটে রাশিয়ার গোলার আঘাতে তিনি মারা যান।
প্রায় চার সপ্তাহ ধরে আগ্রাসন চললেও রাশিয়ার সৈন্যরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বড় কোনো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। দেশটিতে রুশ সৈন্যদের অভিযান প্রায় সব দিক থেকে থমকে গেছে। তবে দেশটির আবাসিক বিভিন্ন জেলা কামানের গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলার মাধ্যমে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ও স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নির্ভুল নিশানার অস্ত্র এবং নির্বিচারে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের কাছে রাসায়নিক অথবা জৈব অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এসব অভিযোগ নিছক মিথ্যা নয়, বরং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। আর এই অভিযোগ তারই লক্ষণ।
‘এখন তিনি নতুন মিথ্যা অভিযোগ করছেন। জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। যা একেবারে সত্য নয়।’
বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনেরও জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে বলে রাশিয়া অভিযোগ করছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন যে এই দু’টি অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে বিবেচনা করছেন, এটি তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। পুতিন ‘ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ’ এবং ‘নাৎসিদের’ হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। পশ্চিমারা বিনা উসকানি এবং মিথ্যা অজুহাতে ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করেছে বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।