বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সাভার বিএলআরআইয়ের সম্মেলন কক্ষে বিএলআরআইয়ের পক্ষে মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং এএলআরডি’র পক্ষে নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য উৎপাদনে বিএলআরআইয়ের উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে। এসব প্রযুক্তি দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে বিএলআরআই এবং এএলআরডি একসঙ্গে কাজ করার জন্য এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হলো। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা এসব সুফল পাবেন।
এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, বিএলআরআইয়ের গবেষণায় উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাতের ছাগল, গরু, ভেড়া, মুরগি, সজিনা (প্রাণী খাদ্য হিসেবে) সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে প্রচার ও সুফল ভোগীদের কাছে তুলে ধরতে এএলআরডি’র দেশব্যাপী সহযোগী সংস্থাগুলো কাজ করবে।
গত ২০১৮ সাল থেকে বিএলআরআই সজিনা ইস্যুতে এএলআরডি’র সঙ্গে যৌথভাবে করে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন- বিএলআরআইয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নাসরীন সুলতানা, বিভাগীয় প্রধান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রেজিয়া খাতুন, ফার্মিং সিস্টেম এবং রিসার্চ ডিভিশনের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো জিল্লুর রহমান।
এছাড়াও এএলআরডির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, কর্মসূচি সমন্বয়কারী কিশোর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, কর্মসূচি কর্মকর্তা মির্জা আজিম হায়দার, আজমিরা জামান প্রমুখ।