ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশ অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
এই দিন বেলারুশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘বেলারুশের সেনাবাহিনী ইউক্রেনের সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে না এবং ভবিষ্যতে অংশ নেবে— এমন কোনো পরিকল্পনাও আপাতত সরকারের নেই।’
‘তাছাড়া, রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা হয়নি। এখন পর্যন্ত তারা আমাদের কাছে সামরিক সহযোগিতাও চায় নি; আর আমরা মনে করছি, এই অভিযানে বেলারুশের অংশ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে উত্থান ঘটে ইউক্রেন, বেলারুশসহ ১৫টি রাষ্ট্রের। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে তিক্ততা থাকলেও বেলারুশের সঙ্গে শুরু থেকেই নিবিড় বন্ধুত্ব রয়েছে রাশিয়ার।
দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সেনা অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষণ সম্প্রচারের পরপরই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং তড়িৎগতিতে ইউক্রেনের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পাশপাশি চতুর্দিক থেকে দেশটির ভেতরে প্রবেশ করতে শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। বর্তমানে বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত চলছে ইউক্রেনের সেনা বাহিনীর।
অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন পাশ্চাত্য সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল, বেলারুশও এই অভিযানে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেবে; কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট বুধবার সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন।
সূত্র: বিবিসি