নীলক্ষেতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রায় ৩০-৩৫টি বইয়ের দোকান পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনায় কয়েক লাখ টাকার বই পুড়ে গেছে। শুধু আগুন নয় ফায়ার সার্ভিসের পানিতেও দোকান-ফুটপাতের বইগুলো ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
ফুটপাতের বই বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, আগুনে হয়ত আমার বই পুড়ত না তবে এখন সব শেষ। অন্তত এক লাখ টাকার বই পানিতে ভিজে গেল।
রোমেনা বেগম নামে এক নারী আহাজারি করে বলেন, সরকারের কারণেই আজকে এই অবস্থা। প্রতি বছর এখানে আগুন লাগে। তবুও সরকারের দৃষ্টি নেই। আজ আমার ছেলের বইয়ের দোকান শেষ হয়ে গেছে। আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি এবং আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সেটা যেন সরকার নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, ৯ লাখ টাকা লোন দিয়ে আমার ছেলে এই দোকান দিয়েছে। এখন এই লোন কে দেবে? সরকার কেন এটা বিল্ডিং করে দেয় না, এই দায় সরকারের।
বইয়ের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুটপাতের দোকান মালিকরাও। ফুটপাতের দোকানদার আব্দুল আজিজ বলেন, ঋণ-ধারদেনা করে লক্ষাধিক টাকার নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি আগুনে পুড়ে শেষ হয়েছে। যা কিছু অবশিষ্ট ছিল সেগুলো পানিতে নষ্ট হয়েছে। একেবারে পথের ফকির হয়ে গেলাম।