1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

ভাষাসৈনিক ছালেহার বহিষ্কারাদেশের আক্ষেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন সন্তানরা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১২.৪৩ পিএম
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে যে কজন প্রতিবাদী নারী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছালেহা বেগম। তখন তিনি ময়মনসিংহ শহরের মুসলিম গার্লস হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়তেন। মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ছালেহা। গৌরবোজ্জ্বল আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্ণ হলেও সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়নি আজও। সেই আক্ষেপ ঘুচাতে মায়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের কাছে ভাষাসৈনিকের সন্তানরা আবেদন করলেও সুরাহা হচ্ছে না বিষয়টির।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে করা মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে শহীদ হন অনেকে। সর্বত্র শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ময়মনসিংহেও। ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা সেদিন ক্লাসে যোগ দেয়নি। তারা বিদ্যালয়ে উঠিয়ে দেয় কালো পতাকা। শহরজুড়ে শুরু হয় মিছিল। সেই মিছিলের মূল কারিগর ছিলেন এই ছালেহা বেগম।

ছালেহা বেগমের নেতৃত্বে স্কুলে শোকের কালো পতাকা ওড়ানো ছিল শিক্ষকদের চোখে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। স্কুলের অধ্যক্ষ ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক ছালেহা বেগমকে স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ছালেহাকে স্কুল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এতে তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অল্প বয়সেই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।

পরবর্তী জীবনে ছালেহা বেগম একেবারেই নিভৃতচারী হয়ে পড়েন। এমনকি নিজের এই গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কথাও পরিবারের সদস্যদের বাইরে প্রকাশ করতেন না কোথাও। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট সিলেটের কুলাউড়ায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন ছালেহা বেগম। সমাহিত করা হয় কিশোরগঞ্জ হয়বতনগর জমিদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে।

ছালেহা বেগমের মৃত্যুর পর তার সন্তানরা মায়ের ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি স্কুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন। গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন ছালেহা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফেরদৌস আরা। রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে স্কুলে কালো পতাকা টাঙানো ও ছাত্রীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিন বছরের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার ও মরণোত্তর পূর্ণ ভাষাসৈনিকের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদনটি করা হয়।

ছালেহা বেগমের ছেলে সৈয়দ শাকিল আহাদ বলেন, আমার মায়ের বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও একজন নারী ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি নিয়ে প্রচেষ্টা শুরু করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। আমার মা নিজের স্বীকৃতি না চাইলেও আমরা মায়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি চাই। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই বলে জানিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৬১ বছর পর ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে। আমার মা ছালেহা বেগমকে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাইস্কুল থেকে যে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, সেটিও বাতিল করা হোক।

ময়মনসিংহের মুসলিম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ১৯৪৪ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেছি কিন্তু ছালেহা বেগমের বহিষ্কারের বিষয়ে তথ্য পায়নি। তার পরিবার বিভিন্ন বইয়ের লেখা উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু বইয়ে এমন তথ্য থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। তার পরিবার যদি কোনো প্রমাণপত্র দিতে পারে তবে আমাদের জন্য কাজটি সহজ হয়। এটি করতে পারলে তো সেটি আমাদের জন্যই সুনাম এবং গর্বের বিষয় হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com