1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কে এই সফিক? উত্তরায় খুলেছে নারী বিক্রির হাট কে এই সফিক? উত্তরা খুলেছে নারী বিক্রির হাট। দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, ভারতে পাঁচার হচ্ছে অল্প বয়সি নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ, লুটপাট বন্ধ করার জন্য অভিযোগ জমা পরেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেফতার ইবতেদায়ী নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভা ঈমান …….. মোঃ মনির হোসেন  পুলিশের নাকের ডগায় গার্ডেন ভিউ ও বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ডের অর্ন্তরালে মানব পাঁচার ও নানাবিধ অপরাধ কর্ম

ভাষাসৈনিক ছালেহার বহিষ্কারাদেশের আক্ষেপ বয়ে বেড়াচ্ছেন সন্তানরা

  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১২.৪৩ পিএম
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে যে কজন প্রতিবাদী নারী সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছালেহা বেগম। তখন তিনি ময়মনসিংহ শহরের মুসলিম গার্লস হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়তেন। মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ছালেহা। গৌরবোজ্জ্বল আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্ণ হলেও সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়নি আজও। সেই আক্ষেপ ঘুচাতে মায়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের কাছে ভাষাসৈনিকের সন্তানরা আবেদন করলেও সুরাহা হচ্ছে না বিষয়টির।

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে করা মিছিলে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে শহীদ হন অনেকে। সর্বত্র শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ময়মনসিংহেও। ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা সেদিন ক্লাসে যোগ দেয়নি। তারা বিদ্যালয়ে উঠিয়ে দেয় কালো পতাকা। শহরজুড়ে শুরু হয় মিছিল। সেই মিছিলের মূল কারিগর ছিলেন এই ছালেহা বেগম।

ছালেহা বেগমের নেতৃত্বে স্কুলে শোকের কালো পতাকা ওড়ানো ছিল শিক্ষকদের চোখে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। স্কুলের অধ্যক্ষ ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক ছালেহা বেগমকে স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি ছালেহাকে স্কুল ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এতে তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অল্প বয়সেই বসতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে।

পরবর্তী জীবনে ছালেহা বেগম একেবারেই নিভৃতচারী হয়ে পড়েন। এমনকি নিজের এই গৌরবোজ্জ্বল অবদানের কথাও পরিবারের সদস্যদের বাইরে প্রকাশ করতেন না কোথাও। ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট সিলেটের কুলাউড়ায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন ছালেহা বেগম। সমাহিত করা হয় কিশোরগঞ্জ হয়বতনগর জমিদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে।

ছালেহা বেগমের মৃত্যুর পর তার সন্তানরা মায়ের ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি স্কুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন। গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন ছালেহা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দা ফেরদৌস আরা। রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে স্কুলে কালো পতাকা টাঙানো ও ছাত্রীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তিন বছরের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার ও মরণোত্তর পূর্ণ ভাষাসৈনিকের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদনটি করা হয়।

ছালেহা বেগমের ছেলে সৈয়দ শাকিল আহাদ বলেন, আমার মায়ের বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও একজন নারী ভাষাসৈনিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি নিয়ে প্রচেষ্টা শুরু করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছে। আমার মা নিজের স্বীকৃতি না চাইলেও আমরা মায়ের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ভাষাসৈনিকের স্বীকৃতি চাই। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই বলে জানিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রত্ব থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৬১ বছর পর ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে। আমার মা ছালেহা বেগমকে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাইস্কুল থেকে যে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল, সেটিও বাতিল করা হোক।

ময়মনসিংহের মুসলিম গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি ১৯৪৪ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখেছি কিন্তু ছালেহা বেগমের বহিষ্কারের বিষয়ে তথ্য পায়নি। তার পরিবার বিভিন্ন বইয়ের লেখা উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু বইয়ে এমন তথ্য থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। তার পরিবার যদি কোনো প্রমাণপত্র দিতে পারে তবে আমাদের জন্য কাজটি সহজ হয়। এটি করতে পারলে তো সেটি আমাদের জন্যই সুনাম এবং গর্বের বিষয় হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com