বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ওপর ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কামানের গোলা, গ্রেনেড এবং মেশিনগান ব্যবহার করে চার দফায় রুশপন্থি যোদ্ধাদের ওপর এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন। এছাড়া ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বিষয়ক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর দ্য সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসসিই)-র পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
ওএসসিই মূলত পূর্ব ইউরোপের পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে থাকে। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু পর্যবেক্ষককে তারা ওই অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা করে বসতে পারে রাশিয়া। একই আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াশিংটনের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও। এমনকি হামলার জন্য মিথ্যা অজুহাতও রাশিয়া দাঁড় করাতে পারে বলে পরিষ্কারভাবেই বলে আসছিল পশ্চিমা দেশগুলো।
তবে মস্কো দাবি করেছে, সামরিক মহড়া শেষে ইউক্রেনে সীমান্ত থেকে ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে রুশ সেনারা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
কিন্তু পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কোর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা পাননি। বরং গত কয়েকদিনে ইউক্রেন সীমান্তে আরও ৭ হাজার রুশ সেনাকে জড়ো করা হয়েছে।