গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বন ও পরিবেশ সচিবকে অবিলম্বে এ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
১১টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় দ্রুত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আতাউল্লাহ নুরুল কবির।
২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১১ টি জেব্রা ও একটি বাঘের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন গাজীপুরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ ফরিদ।
২৬ জানুয়ারি গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে জেব্রা ও বাঘের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিককে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জেব্রাগুলোর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন, এ ঘটনায় সাফারি পার্কে কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তা চিহ্নিতকরণ এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সংবলিত তদন্ত প্রতিবেদন কমিটিকে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। পরে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরো সদস্যকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় জন্য ১০ দিন সময় বৃদ্ধির আবেদনও করা হয়।
২ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ জেব্রা এবং ২৯ তারিখে আরও দুটিসহ মোট ১১টি জেব্রা মারা গেছে। জেব্রা ছাড়াও সেখানে একটি সিংহী ও বাঘের মৃত্যু হয়েছে। কমিটি এসব প্রাণীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।