গত ১২ বছরে ১৩ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। পাল্লা দিয়ে বাড়িয়েছে স্যুয়ারেজ বিলও। ৩০ শতাংশেরও কম এলাকায় সেবা দিলেও পানির দামের সমান দরে প্রায় শতভাগ গ্রাহকের কাছ থেকে স্যুয়ারেজ বিল নিচ্ছে ওয়াসা, যা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। নতুন করে পানির দাম বাড়ানো হলে তা জনগণের জন্য গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়াঁ।
এতে আরও বলা হয়, পানির দাম বাড়ানো জনগণ প্রত্যাশা করে না। এ মুহূর্তে পানির দাম বাড়ানো মোটেই ঠিক হবে না। করোনার সময়ে মানুষ কষ্টে আছে। সাধারণ মানুষ তো জীবন-জীবিকাই নির্বাহ করতে পারছে না। ওয়াসা যে পানি দিচ্ছে, মানুষ তা ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে খাচ্ছে। সংস্থাটি সেবার মান উন্নত করতে পারছে না, সুপেয় পানিও দিতে পারছে না। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমানো প্রয়োজন।
ওয়াসায় দুর্নীতির শেষ নেই উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্নীতির কারণে তারা পানির দাম বাড়াতে চাইছে। এ প্রস্তাব এক ধরনের মূল্য-সন্ত্রাস। একের পর এক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। যা জনগণের সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে। ওয়াসার দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে পানির দাম বাড়ানো নয়, কমানো সম্ভব। তারা সেটা করছে না।
ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে তাদের অদক্ষতা আছে। অনেকটা ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ওয়াসা। তাদের পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক। সরকারের উচিত জনগনের কথা চিন্তা করে ঢাকা ওয়াসার এ প্রস্তাব বাতিল করা।
বুধবার রাজধানীর ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান জানান, পানির দাম ন্যূনতম ২০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে। যদি সরকার এর চেয়ে বেশি বাড়াতে চায় সেক্ষেত্রে ওয়াসার কোনো আপত্তি নেই।