চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আমিনুল ইসলাম। গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আকবর আলী টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৫১৯ ভোট।
নির্বাচনের দিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া আমিনুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ১৫৪ ভোট কম পেয়েও প্রকাশিত গেজেটে ইউপি সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে আকবর আলীর। অথচ সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও গেজেটে নাম নেই আমিনুল ইসলামের। এর আগে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান আমিনুল ইসলামকে ইউপি সদস্য হিসেবে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
প্রকাশিত গেজেটে বিজয়ী ইউপি সদস্য হিসেবে নিজের নাম না থাকায় হতবাক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম। মুঠোফোনে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসরকারি ফলাফলে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এ নিয়ে আর কোনো কথা হয়নি। এমনকি কোনো অভিযোগ করেননি কোনো পরাজিত প্রার্থী। হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত গেজেটে আমার নামের জায়গায় পরাজিত প্রার্থীর নাম দেখতে পাই। প্রকাশিত গেজেট দেখার পর নির্বাচন অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।
দেড় শতাধিক কম ভোট পেয়েও আকবর আলীর নাম গেজেট প্রকাশ হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আকবর আলীর সমর্থকদের দাবি, ভোটে কারচুপি করে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় আমিনুল ইসলামকে। গেজেটে সঠিক তথ্য দিয়ে নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে আকবর আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসরকাারিভাবে ঘোষিত ফলাফলই চূড়ান্ত। কিন্তু প্রকাশিত গেজেটে পরাজিত প্রার্থীর নাম রয়েছে। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলের পর ফলাফলে কোনো পরিবর্তন হয়নি। গেজেটে ভুলের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। খুব শিগগিরই তা সংশোধন করা হবে।
উল্লেখ্য, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র কেন্দ্র পাররামকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। মোট ৩ হাজার ১৭১ ভোটের মধ্যে ভোট প্রদান করেন ২ হাজার ৫৬৬ জন ভোটার। ৬০৫ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। ৯২টি ভোট বাতিল হয় এই কেন্দ্রে। এই ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে আপেল প্রতীকে ৫০৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন তহিদুল ইসলাম। আনারুল ইসলাম ভ্যানগাড়ি প্রতীকে ৩৬৭ ভোট পান। এছাড়াও মোরগ প্রতীকে সাইদুর রহমান ২২৮ ভোট, বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে সাকিম আলী ১৭৭ ভোট এবং ফুটবল প্রতীকে হোদাবুর রহমান পান মাত্র ২ ভোট।