নতুন নতুন রূপে হাজির হচ্ছে করোনাভাইরাস। একে একে করোনার তিনটি ঢেউ। মাঝে কিছুদিন সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণে। তবে সেটা স্থায়ী হচ্ছে না। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি কবে তাও বলতে পারছেন না কেউ। এসবের মধ্যেই নতুন একটি গবেষণা বলছে, অন্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া এ রোগ থেকে দিতে পারে নিস্তার।
এক্ষেত্রে পেরু হলো এমন একটি দেশ, যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির প্রায় ১৫ জনের একজন করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে করোনাকে ঠিকমতো সামলে দেওয়া দেশের তালিকায় একবারে ওপরের দিকে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এক্ষেত্রে প্রতি ৩১৩ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। করোনাকে সামলে দেওয়া দেশের মধ্যে রয়েছে জাপানও। দেশটিতে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৬ জন মানুষ। অনেকেই বলছেন, জাপানের বেশিরভাগ মানুষই তো বয়স্ক। সেক্ষেত্রে এত কম মৃত্যু হলো কীভাবে? এক্ষেত্রে জাপানের নতুন একটি গবেষণাই দিচ্ছে জবাব। এক্ষেত্রে অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যার কারণেই কিছু ব্যক্তি করোনায় প্রাণ হারাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও অন্ত্রের জীবাণু এবং করোনায় মৃত্যু নিয়ে এই প্রথম গবেষণা হচ্ছে না। হংকং এবং চীনে আগেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। তবে জাপানের মানুষের পেটে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া কি অন্যদেশের মানুষের থেকে আলাদা? নাকি তাদের জীবনযাপনের জন্য এতটা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, আপনার অন্ত্রে কেমন ব্যাকটেরিয়া থাকবে তা জিনের ওপর কিছুটা নির্ভর করে। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসকে ভুলে গেলে চলবে না। এ খাদ্যাভ্যাসই শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়াকে লালন-পালন করে। এক্ষেত্রে দেখা গেছে করোনা জটিল পর্যায়ে তাদেরই যাচ্ছে যাদের অন্ত্রে এমন ব্যাকটেরিয়া বেশি পরিমাণে রয়েছে, যা সুগার ফারমেন্ট করে।
বিজ্ঞানীদের কথায়, অন্ত্রের এ মাইক্রোবস শরীরে ইমিউনিটি ভালো রাখার ক্ষেত্রে মারাত্মক কার্যকরী। জাপানের এ গবেষণা দেখিয়েছে, অন্ত্রে কোলনসেল্লা ব্যাকটেরিয়া কম থাকার কারণে সিভিয়র কোভিড দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাকটেরিয়া করোনা থেকে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যারা সবজি কম খান তাদের শরীরেই এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। আর এ মানুষগুলোর শরীরে করোনা বেশ ভালোভাবে সমস্যা তৈরি করেছে।