শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

লেকের পাড়ে ফুলবাগান, মাসে আয় ৫০ হাজার টাকা

  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১১.১২ এএম
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

হাওর নদীর মিশেল জেলা সুনামগঞ্জ। জেলার সদর উপজেলায় গড়ে উঠেছে ফ্লাওয়ার লেক নামে দর্শনীয় একটি স্থান। শহরের ব্যস্ততা আর ক্লান্তি ভুলতে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই ফ্লাওয়ার লেকে ছুটে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছেন। ফলে আয়ের পথ তৈরি হয়েছে উদ্যোক্তাসহ ফটোগ্রাফারদের। 

ফ্লাওয়ার লেকটি সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের ডান পাশে অবস্থিত। সড়ক থেকে নেমেই ছোট একটি লেক। লেকপাড়েই বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে বাগান তৈরি করেছেন সাত উদ্যোক্তা। দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে নির্মাণ করেছেন ওয়াশরুম, ক্যান্টিন, লেকের ওপর বাঁশের সেতু, নৌকা ও ছবি তোলার বিভিন্ন ইভেন্ট।

এদিকে এখন মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময় হলেও প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে ফাল্গুনের হাওয়া। ঋতুরাজ বসন্ত তার আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতির দরজায় কড়া নাড়ছে। বছর ঘুরে প্রকৃতি তার নানা পরিবর্তন পেরিয়ে আবার সেজেছে নতুন রূপে। ফ্লাওয়ার লেকের লাল, হলুদ ও সবুজ ফুল দর্শনার্থীদের খুব সহজেরই আপন করে নিচ্ছে।

দর্শনার্থীরা বলছেন, শহরের ক্লান্তি ভুলতে ফ্লাওয়ার লেক খুব ভালো জায়গা। এখানে রয়েছে সুন্দর একটি লেক। লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে দুটি নৌকা। ক্যান্টিন, বসার জায়গা ও লেকের ওপর বাঁশ, কাঠের সেতু রয়েছে। বিকেল হলেই তারা এই ফ্লাওয়ার লেকে ছুটে আসেন। টিকটকাররাও এখানে ভিডিও বানানোর জন্য ছুটে আসেন।

মো. হারানুর রশিদ বলেন, আমি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। এখানে সব সময় ছবি তুলি। এই এলাকার সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী এখানে হয়। শুক্রবার উপচেপড়া দর্শনার্থী আসে। তাদের ছবি তুলে দিতে ভালো লাগে। প্রতিদিন হাজার পনেরোশ টাকা আয় করতে পারি। এত দিন বেকার ছিলাম। এই ফ্লাওয়ার লেক হওয়ায় আমাদের আয়ের পথ তৈরি হয়েছে।

টিকটকার মো. আরমান বললেন, আমরা তিনজন আসছি ভিডিও করতে। ফুলের সঙ্গে এখানে লাইটও ভালো পাওয়া যায়। দুই-তিন ঘণ্টা আগে আসছি। এখন আর যেতে মন চাইছে না।

ফ্লাওয়ার লেকের মালিক মো. রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে একটি লেক আছে। সে লেক দেখে এখানে বাগান করার পরিকল্পনা মাথায় আসে। পরে আমরা সাতজন প্রায় দেড় লাখ টাকার খরচ করে এখানে বাগান করেছি। নাম দিয়েছি ফ্লাওয়ার লেক।

তিনি আরও বলেন, ফুলের গাছগুলো সিলেট থেকে এনেছি। সিলভিয়া, ডালিয়াসহ প্রায় ৩৫ হাজার টাকার চারা এনেছি। কাঠ ও বাঁশ দিয়ে লেকের ওপরে একটি সেতু করেছি। সেখানেও ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। দুটি নৌকাও দিয়েছি। মোট খরচ হয়েছে দেড় থেকে পৌনে দুই লাখের মতো। এখন পর্যটক আসছে। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com