সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, ‘সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রান্ধনীবাড়ী এলাকায় বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যা করেছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী সন্ত্রাসী সেলিম ও মাসুদ নিজেদের অস্ত্র দিয়ে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে যুবদল নেতা আকবর আলীকে। এ হত্যাকারীরা এলাকায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।’
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশেই জনপদের পর জনপদে আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্রসজ্জিত করা হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতকে নিশ্চিহ্ন করতে। আর সেজন্যই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গ্রাম থেকে শহরে খুনের নেশায় ছুটে বেড়াচ্ছে।’
রিজভী আরও দাবি করেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী শাসনামলে হত্যার শিকার হয়েছেন।’
বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করছে— তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী যেন আওয়ামী লীগের ইভিএমের ন্যায় ভূমিকা পালন করছেন। যে প্রতীকেই বোতাম চাপ দেওয়া হোক না কেন তা যেমন নৌকায় চলে যায়। ঠিক তেমনি সারাদেশে নিজেদের পাহাড়সম অপকর্মের দিকে না তাকিয়ে অনর্গল মিথ্যার বেস্যাতি করে যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী। দেশব্যাপী নিজেদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছেন, এটা কোনো উন্নয়নের কাজ? এটা কি আইন সম্মত কাজ? বরং জনগণ এই রক্তাক্ত ঘটনাকে আওয়ামী আইনের শাসনের কাজ বলেই বিবেচনা করে।’
রিজভী জানান, যুবদল নেতা আকবর আলীর হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে যুবদল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করছেন। খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিদেশেই একমাত্র তার চিকিৎসা সম্ভব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।