1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ‘চিঠি’ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রভাব ফেলবে না

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ১২.৪১ পিএম
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং তাদের বিদেশি বন্ধু ও লবিস্টদের বাংলাদেশ নিয়ে অনেক দিন ধরে অপপ্রচারের কারণে র‌্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। সংস্থাগুলোর চিঠির কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. মোমেন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমাদের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান তাদের বিদেশি বন্ধু কিংবা তাদের লবিস্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব অপ্রচারের কারণে ১২টি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান র‌্যাবকে নিষিদ্ধ করার জন্য গত নভেম্বর মাসে জাতিসংঘে একটি চিঠি দিয়েছে। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কিছু করে নাই। চিঠি পেয়েছে, রেখে দিয়েছে। শিকার করেছে যে তারা চিঠি পেয়েছে। আমরা দেখি এটা নিয়ে কি করা যায়।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিরক্ষা মিশনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ যখন শান্তিরক্ষী নেয়, যাচাই-বাছাই করেই নেয়। সুতরাং এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হলেই যে খুব ভালো প্রতিষ্ঠান, তা নয়। একটি প্রতিষ্ঠান বলেছে, বাংলাদেশে র‌্যাবে বহু লোক মেরে ফেলেছে, অমুকতমুক। তারা এক সময় বলেছিল, ইরাকে নিষিদ্ধ অস্ত্র রয়েছে। এটা বলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করেছে, সত্যি সত্যি আছে… পরের ঘটনা আপনারা জানেন।’

‘আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বলব, তারা আগের কথা স্মরণ করুক। একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের ভুল পথে নিয়েছে। যার কারণে তাদের সেক্রেটারি অব স্টেট সরি বলতে হয়েছে’, যোগ করেন মোমেন।

র‌্যাব নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহযোগিতা করতে পারে বলে মনে করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘র‌্যাব অত্যন্ত পারদর্শীভাবে ও সততার সঙ্গে কাজ করছে। এজন্য বাংলাদেশে সবার কাছে র‌্যাব গ্রহণযোগ্য। আমাদেরও কাজ করার আছে। যদি কোথাও আইনের ব্যত্যয় হয় অবশ্যই আমরা সেখানে অ্যাকশন নেব। ইতোমধ্যে দু-একটা কেইসে র‌্যাবকে এবিউসড করা হয়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা আপনারা জানেন। এরা কীভাবে অ্যাকশন নেবে এগুলো আমেরিকানরা শিখিয়েছে। তাদের এ রুলস অব এনগেজমেন্টে যদি অসুবিধা থাকে, আমরা আমেরিকানদের বলব তোমরা এদের ফ্রেশ ট্রেইনিং দাও। যাতে কোনো ধরনের ব্যত্যয় না ঘটে।’

বিদেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে কি না? জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘যারা দেশের অপপ্রচার করে তাদের অনেকে না জেনে করে। আবার অনেকে জেনে করে। প্রবাসে এত অপ্রচার কিন্তু তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এগুলো খুবই দুঃখজনক। দেশে বিভিন্ন দলমত থাকতে পারে। এক দল আরেক দলের নীতি গ্রহণ নাও করতে পারে। কিন্তু সেজন্য দেশের ক্ষতি করার জন্য আমাদের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আগাগোড়া লেগে থাকে। এটা খুব দুঃখজনক। এগুলো করার জন্য বিদেশিদের টাকা দেয়। তাদের বলে, এ দেশে যত ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা বন্ধ করে দেন।’

‘এগুলো দেখে মনে হয়, তাদের দেশের প্রতি মমত্ব কম। দেশের প্রতি আন্তরিকতা না থাকায় এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। আমি আশা করব, আগামীতে তারা অপকর্ম থেকে বিরত থাকবে,’ বলেন মোমেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আগামী কয়েক বছর আমাদের সামনে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ আসবে। দেশে-বিদেশে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহকর্মীরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন মানুষের কল্যাণে যে নির্যাতন সহ্য করেছেন, মানুষের অধিকার আদায়ে যে সংগ্রাম করেছেন সেই সব বিষয় তুলে ধরবেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ যে একটি সম্ভাবনাময় দেশ, সেটা সারা বিশ্বের সব জায়গায় পৌঁছে দেবে।’

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জীবিত সব মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নেবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com