বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করতে লিগ্যাল নোটিশ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ১২.১২ পিএম
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম) আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী সংশোধন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজিরের পক্ষে অ্যাডভোকেট আবু তালেব এ নোটিশ পাঠান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়। ওই রায়ে বলা হয়-

১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

রায়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনো কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার হয় না।

১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান একটি রিট আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে আটটি নির্দেশনা দেন। সে অনুসারে নতুন তালিকা তৈরি করতে সরকারকে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আপিল বিভাগের রায়ের পর তৎকালীন অতিরিক্ত আ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পূর্ণাঙ্গ রায়ে রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে নতুন কয়েকটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। একুশে ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্তদের ‘যথাযথ সম্মান’ দিতে বলা হয়েছে।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স কী?

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম হলো একটি প্রোটোকল তালিকা বা রাষ্ট্রের নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পদ সমূহের ক্রমবিন্যাস। তবে একজন ব্যক্তি যখন একের অধিক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন তখন সর্বোচ্চ পদটিই হিসেব করা হয়।

রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কে কোথায় বসবেন তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গেলে প্রোটোকল দেওয়া হয়; তখন কে কোথায় দাঁড়াবেন তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের আলোকে ঠিক করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com