ভারতীয় ক্রিকেটে খেলোয়াড় তৈরির বড় একটি মঞ্চ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সে মঞ্চ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিপিএলে আলো ছড়িয়েই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন সাব্বির রহমান, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু কিংবা হালের নাসুম আহমেদের মতো ক্রিকেটাররা। এবারের বিপিএল থেকেও নতুন ২-৩ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন, এমন বিশ্বাস সাকিব আল হাসানের।
মঙ্গলবার ফরচুন বরিশালের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বললেন, ‘দেশি ক্রিকেটারদের জন্য তো বড় একটা সুযোগ, নিজেদেরকে মেলে ধরার মঞ্চ, পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে আসারও। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে আমরা ২ কিংবা ৩ জন নতুন খেলোয়াড় পাব যারা বাংলাদেশকে অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।’
বিপিএলের আসন্ন আসর মাঠে গড়াবে আগামী ২১ জানুয়ারি। এবারের বিপিএলে বরিশালের প্রতিনিধিত্ব করবেন সাকিব। দলটির অধিনায়কও তিনি। সঙ্গে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন ক্রিস গেইল, ব্রাভো, মুজিব উর রহমানের মতো তারকাদের।
নিজের দল এবং বিদেশি ক্রিকেটারসের ভূমিকা নিয়ে সাকিবের জবাব, ‘আমি এখানে দেশি-বিদেশি তুলনা করতে চাই না। কিংবা কার গুরুত্ব বেশি বা কার কার গুরুত্ব কম সেটাও আলাদা করতে চাই না। আমদের মাঠে ১১ জন খেলবে, ডাগ আউটে যারা থাকবে, সবাই মিলে যদি একসঙ্গে কাজ করতে পারি তাহলেও ফল আসা সম্ভব।’
যোগ করেন সাকিব, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো এবং ফেয়ার একটা টুর্নামেন্ট হবে। যেখানে সেরা দলটাই জিতবে।’
বরাবরের মতো এবারও শুরুর আগেই আলোচনায় বিপিএল। তবে সেটি ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচকই বেশি। বিপিএলের এবার থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস। এনিয়ে সাকিব হতাশা প্রকাশ করলেও বোর্ডের চেষ্টার ত্রুটি দেখেননি।
সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘যে প্রযুক্তিটা ব্যবহার হচ্ছে, সেটা খুব বেশি দিন আসেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যদি থাকত অবশ্যই ভালো হতো। না থাকাটা একটু হতাশার। কিন্তু আমার ধারণা বিসিবি তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আপনারা যদি বিসিবির সিইওর সাক্ষাৎকারটা দেখে থাকেন, তারা আইসিসি পর্যন্ত চেষ্টা করেছে ডিআরএসটা আনার। যেহেতু সম্ভব হয়নি এটা নিয়ে কথা বলার আর কিছু নেই।