সিএনএম প্রতিনিধিঃ
অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে অটোরিকশা ভাড়া, তারপর কৌশলে সুবিধাজনক গন্তব্যে গিয়ে মালামাল নামিয়ে দিতে চালককে অনুরোধ করে চোর চক্র।
মালামাল এগিয়ে দিতে গাড়ি রেখে চালক এগিয়ে গেলেই চক্রের অন্য সদস্যরা গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। এমনই এক প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এদের সবার বিরুদ্ধেই চুরি, প্রতারণা, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
যেখানে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চলে সেখানেই এই চোর চক্র সক্রিয়। একজনের জন্য বহন করা কষ্টকর এমন পরিমাণ বাজার সদাই নিয়ে অটোরিকশা ভাড়া করে চক্রের সদস্যরা। এরপর কোনো গলি পথে বা বহুতল ভবনের সামনে নেমে মালামাল এগিয়ে দিতে অনুরোধ করে যাত্রীবেশি চোর। মালামাল এগিয়ে দিতে গলিপথে বা ভবনের ভেতর ঢুকলেই চক্রের অন্য সদস্যরা গাড়ি নিয়ে মুহুর্তেই যেতো চম্পট।
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে চক্রের হোতা বাবুল মিয়াকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয় চক্রের ৮ সদস্যকে। এ চক্রের একেক সদস্যের ভূমিকা একেক রকম। যাত্রী পরিচয়ে মূল ভুমিকা বাবুল মিয়ার। সরাসরি গাড়ি চুরিতে অংশ নেয়া তিন সদস্য শিশির, মিন্টু, তৈয়বের মধ্যে মিন্টু ও তৈয়ব এর বাইরে জড়িত জালটাকা নিয়ে প্রতরণায়। চুরি করা গাড়ি কেনা বেচায় জড়িত অনিক ও জামাল হোসেন। আরেক সদস্য জসিম খান গাড়ির চুরির পাশাপাশি অজ্ঞান পার্টিরও সদস্য। চুরি করা গাড়ি লুকিয়ে রাখার দায়িত্বে শেখ মিলন আর গাড়ির রং বদলে চেহারা পাল্টে দিতেন জাহাঙ্গীর আলম।
ডিএমপির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (গোয়েন্দা) উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘গন্তব্যে পোঁছানোর পর চালককে কিছু ব্যাগ হাতে নিয়ে সহায়তার কথা বলে থাকে তারা। আর সেসময়ই চক্রের সহযোগীরা অটোরিকশা নিয়ে চলে যায়।’
পুলিশ জানিয়েছে, ৯ সদস্যকে আটক করা গেলেও গাড়ি চুরির এই চক্রে সক্রিয় অন্তত পনের থেকে বিশ জন।
মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তারা অটোরিকশা অথবা ইজি বাইকগুলো চুরি করে। আমরা ধারণা করছি তারা প্রাইভেট কার চুরির সাথেও জড়িত থাকতে পারে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হয়তো পরবর্তী তথ্যগুলো বের করা সম্ভব হবে।’
জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ি চুরিতে জড়িত অন্যান্য চক্রের সন্ধান মিলবে জানিয়ে তাদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে পুলিশ।