সিএনএম প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কুষ্টিয়া অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে আজ সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে এসব দণ্ড দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান।
অভিযানের সময় কুষ্টিয়া র্যাব-১২ ক্যাম্পের কমান্ডার মাহফুজুর রহমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি চিকিৎসক রাকিবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ইস্যু করা একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর নকল করে ভুয়া সনদ তৈরি করেন এম কে এইচ খান। ওই নম্বর যাচাই করে দেখা যায়, সেটি সাতক্ষীরা জেলার একজন চিকিৎসকের, যিনি ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, মূলত তিনি এসএসসি পাসও করেননি। অথচ এমবিবিএস, এফসিপিএস ডিগ্রিধারী মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ দাবি করে আসছিলেন। বিএমডিসির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নথিপত্র পর্যালোচনা করে এম কে এইচ খানকে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিশ্চিত করেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার এম কে এইচ খান বিজয় বিয়ে করেছেন কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকায়। বিয়ের সুবাদে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস করেছেন জানিয়ে সেখানে শুরু করেন চিকিৎসাসেবা।
প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে রোগী দেখে আসছিলেন এম কে এইচ খান বিজয়। কখনো আবার অস্ত্রোপচারও করেন। ব্যবহার করেন দামি প্রাইভেট কার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। র্যাবের হাতে আটক হয়ে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। প্রতারণার দায়ে তাকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি যে হাসপাতালে রোগী দেখতেন, সেই হাসপাতালের মালিক সায়েদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।