বাণিজ্য শেষে আবার তুলে নিল মামলা
মোঃ আলমগীর (সেলিম)
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট বিকেলে ঢাকার সাভার উপজেলার বাইপাইলে গুলিতে নিহত হন আল আমীন (২৯) নামের এক যুবক। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ৯ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ১৫৫ জনের বিরুদ্দে হত্যা মামলা করেছেন আল আমীনের বাবা ইসমাইল। মামলাটি করতে ইসমাইলকে সহায়তা করেন তার নিজ জেলা শরীয়পুরের কয়েকজন বিএনপি নেতা। এখন দেখা যাচ্ছে মামলায় এমন ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে যারা খোলা চোখে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। মামলায় এত আসামি কিভাবে হলো সেটিও জানেন না বাদী। ফলে তিনি মামলাটি তুলে নিতে চাচ্ছেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মগরা গ্রামের ইসমাইল ও জিয়াসমিন বেগম দম্পতির ছেলে আল আমীন। তিনি সৌদি আরবে থাকতেন। কয়েক মাস আগে দেশে ফিরে সাভারের বাইপাইল এলাকায় পিতার সঙ্গে মুদি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন। ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর আর তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। ১৭ আগষ্ট শহীদ সোহরাওয়ার্দীী হাসপাতালের মর্গে তার লাশ খুঁজে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল আমীনের বাবা ইসমাইলের করা মামলায় যে ১৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিম, ইকবাল হোসেন অপু সাবেক সংসদ সদস্য শরীয়তপুর-১, ড. আলমগীর মতিন কার্যকরী সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগ নড়িয়া, মোঃ হেমায়েত হোসেন সহ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি আওয়ামীলীগ, আব্দুর সালাম খান চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, রফিকুল ইসলাম কোতয়াল সাবেক মেয়র শরীয়তপুর পৌরসভা, মোঃ পারভেজ রহমান জন মেয়র শরীয়তপুর পৌরসভা, কাজী আতাউর রহমান যুবলীগ নেতা নড়িয়া, রতন সরদার চাকধ যুবলীগ সভাপতি নড়িয়া, আব্দুল জজিল বেপারী যুবলীগ নেতা শরীয়তপুর পৌরসভা, মেজবাউর রহমান জয় যুবলীগ নেতা পালং শরীয়তপুর, মোঃ বোরহান মুন্সি শরীয়তপুর জেলা পরিষদ সদস্য, মোঃ নুসরাত হোসেন লিটন ক্যান্টনমেন্ট থানা যুবলীগ নেতা, চুন্নু বেপারী সাংগঠনিক সম্পাদক পৌরসভা যুবলীগ শরীয়তপুর, বাচ্চু বেপারী প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ২নং ওয়ার্ড শরীয়তপুর পৌরসভা, মোঃ হাশেম তপোদ্দার সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ শরীয়তপুর, মোঃ বিল্লাল হোসেন সভাপতি যুবলীগ শরীয়তপুর সদর, আতাউর রহমান রাজন যুবলীগ নেতা নড়িয়া, মোতালেব ঢালী কাউন্সিলর ৪নং ওয়ার্ড শরীয়তপুর, মোয়াজ্জেম ঢালী সাবেক কাউন্সিলর ৪নং ওয়ার্ড শরীয়তপুর, মোঃ ফরিদ শেখ কাউন্সিল ৮নং ওয়ার্ড শরীয়তপুর, আলমগীর মুন্সি দপ্তর সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ শরীয়তপুর, নুরুল মাদবর সভাপতি শরীয়তপুর জেলা যুবলীগ, মোঃ জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নওপাড়া ইউনিয়ন শরীয়তপুর, সিদ্দিকুর রহমান পাহাড় সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ, শাহাদাত পাহাড় সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ শরীয়তপুর, আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাবেক চেয়ারম্যান আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন শরীয়তপুর, এনামুল হক এনাম সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মোঃ জাহিদ ফকির সাবেক চেয়ারম্যান তুলাষাড় ইউনিয়ন পরিষদ, মোঃ জামাল ফকির, শফিউল আলম মুন্সি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মিজানুর রহমান শামীম সাধারণ সম্পাদক নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, মোঃ নুরুল আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ, মোঃ তাইজুল ইসলাম সরকার সাধারণ সম্পাদক শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শফিকুল ইসলাম খিলগাঁও ৩নংওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামীলীগ, মোঃ রুবেল খান যুবলীগ নেতা, মানিক শেখ ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি শরীয়তপুর সদর, তাজরুল দেওয়ান যুবলীগ নেতা, আবু তালেব জোয়ারদার ওয়ার্ড সদস্য, ফেরদৌস জোয়ারদার, বাশার মোল্লা যুবলীগ নেতা, মোঃ আব্দুল্লা আল মামুন যুবলীগ সদস্য, হোসেন আলী মিন্টু, জাহিদুল ইসলাম শামীম কোতয়াল ছাত্রলীগ নেতা, হাসান আলী সেন্টু যুবলীগ নেতা, আক্তারোজ্জামান জুয়েল আওয়ামীলীগ নেতা, মোঃ আতাউর রহমান শিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা, সবুজ খন্দকার যুবলীগ নেতা, হাসানুজ্জামান খোকন মোল্লা আওয়ামীলীগ নেতা, আকাশ ঢালী ছাত্রলীগ নেতা, আসাদুজ্জামান বিপ্লব ছাত্রলীগ নেতা, হাবিবুর রহমান মকদম, মোঃ লিটন, মোঃ শাহ জালাল মাল, গোলাম আলী, ইউনুস মোল্লা, আবু তালেব মাদবর, মোজাফফর জমাদ্দার, আশ্রাফুল হক সিয়াম, এনামুল মুন্সি, আলমাছ খান, আব্বাস খান, আবু সাহিদ ঢালী, নজু গাজী, মাসুদ রানা, স্বপন মুন্সি সাধারণ সম্পাদক নওশাসন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নড়িয়া, শরীয়তপুর, ইমরান চকিদার, জুয়েল শেখ, বিল্লাল তালুকদার, ওবায়দুল খা, মাসুম ছৈয়াল, মিলন চৌকিদার, ফরহাদ মাঝি, কাজিম শিকদার, ইব্রাহিম কালু ওরফে কালু ফকির, খোকন ভূইয়া, নিলয়, মকবুল চৌকিদার, শাহাদাত হোসেন, সজিব হোসেন, আব্দুল সামাদ তালুকদার, খালেক শওকত, আব্দুল আলিম বেপারী, মেহেদী জামিল, ডা. হেলাল উদ্দিন সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি আওয়ামীলীগ, বি এম মোজাম্মেল হক সাবেক সংসদ সদস্য শরীয়তপুর-১, রাজিব মোল্লা, অপু উকিল, এ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বাহাদুর বেপারী সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি, আব্দুল আউয়াল শামীম, শওকত বয়াতী, মেহেদী শিকদার, খোকন বয়াতী, আরিফুর ইসলাম সোহেল বয়াতি, মোঃ জলিল সরদার, মোশারফ মাদবর, কনিক খান, জাহাঙ্গীর হাওলাদার, আজগর মাদবর, রাজিব ফকির, নুরুল আমিন কোতয়াল, ওহিদুজ্জামান সোহেল আকন্দ, মোঃ কামরুজ্জামান উজ্জল, ফাহাদ হোসেন অপু, মোঃ জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইমন ফরাজী, ইদ্রিস ফরাজী, রায়হান হোসেন সুমন পাহাড়, সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার, মোবারক হোসেন, বাদল বেপারী, ইমরান বেপারী, সালাম শেখ, মোতাহার হোসেন, আব্দুর রশিদ সরদার, খবির শেখ, গোলাম মোস্তফা, ইয়াসিন হাওলাদার, কালু মাঝি, আনোয়ার খা, সেলিম মাদবর, জাহাঙ্গীর মৃদা, মোরাদ মুন্সি, তুহিন ফরাজী, সোহাগ পাহাড়, বাদশা শেখ, মোস্তফা ওরফে বিপি মোস্তফা, মনসুর শৈয়াল, রুহল আমিন শৈয়াল, রাশেদুজ্জামান ভুলু, মন্টু মৃধা, হাশেম মৃধা, নুরুল হক মৃধা, আমানুল্লাহ দেওয়ান, মোঃ খোকন বেপারী, তুহিন খান, আব্দুর রশিদ সরদার কেন্দ্রীয় উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, নুরুল ইসলাম চৌকিদার, মুরাদ খান যুবলীগ নেতা, ত্রিশাল আশুলিয়া, কুদ্দুস খান, হাসান সরদার, জলিল সরদার, জলির মাঝি, সেলিম সরদার, নিরব বেপারী, আনোয়ার হোসেন মাদবর, লালন শেখ, শামীম সরদার, রাজ্জাক ঢালী, মোকলেছুর রহমান মুকুল সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ আঙ্গারিয়া পালং।
মামলার ১৫৫ জন আসামির নামের মধ্যে অন্তন ১৮ জন ব্যবসায়ী ও আইনজীবীর নামও আছে। মালার পর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দিলরুবা আফরোজ ২১ অক্টোবরের মাধ্যে আল আমীনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরি, কোনো অপমৃত্যু মামলা ও কোনো নিয়মিত মামলা হয়েছে কিনা বা ওই ঘটনা পুলিশ তদন্ত করেছে কি না তা জানাতে ঢাকার কাফরুল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী ইসমাইলের দাবী এই মামলার পেছনে আছেন নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি ও একটি হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বাবুল তালুকদার। বাবুল শরীয়তপুর জজ কোর্টের সাবেক সরকারি কৌসুলি (পিপি) হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সিকে হত্য্রা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে এখন পলাতক আছেন। আল আমীন হত্যা মামলায় তার যোগসাজশে আসামির তালিকায় নাম এসেছে হাবীবুর রহমানের ছেলে পারভেজ রহমান, মেজবাউর রহমান ও মনির হোসেনের ছেলে বোরহান মুন্সির। এছাড়া দুই ভাই হত্যা মালার খালাসপ্রাপ্ত কয়েকজন আসামিকেও আল আমীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তারা বাবুল তালুকদার ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সূত্রে জানা যায় এই মামলার স্বাক্ষীরা হত্যার ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই ছিল না তবুও তারা মামলায় স্বাক্ষী হয়েছেন।
মামলার বাদী ইসমাইল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা ও শরীয়তপুর শহরের একটি হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত এক আসামি আমার সঙ্গে মামলার বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন। তারা আমাকে সহযোগিতা করার আশ^াস দিয়ে ডেকেছিলেন। বলেছেন এক রকম আর কাজ করেছেন তার উল্টো। আমি বুঝতেও পারিনি আমাকে ব্যবহার করে এভাবে বিভিন্ন মানুষের নাম মামলায় দেওয়া হবে। মামলাটি করার জন্য উকিলের মাধ্যমে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। ওই স্বাক্ষর দিয়ে এখন আমি ফেঁসে গেছি। আমি আইনগতভাবেই মামলাটি তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
মামলার আসামি হিসেবে নাম এসেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুস সালামের। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন আমি জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছি। ঘটনার সময় আমি দেশেই ছিলাম না। শত্রæতাবশত আমাকে আসামি করা হয়েছে। এখন ওই চক্রটি মামলা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আমার স্বজনদের কাছে টাকা চাইছে।
শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার পতনের পর একটি চক্র আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওই চক্রটিই ষড়যন্ত্র করে একটি মামলায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য আসামি করেছে।
মর্ডান হারবালের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক আলমগীর মতি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। প্রায়ই শয্যাশায়ী থাকেন। তাঁর একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্যার অসুস্থ। তিনি হাঁটাচলা করার সময় অন্যের সহযোগিতা নেন। এমন একজন মানুষকে হথ্যা মামলায় আসামি করায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। মামলার আসামী আব্দুল রশিদ সরদার ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলেন মামল হতে রেহাই পেতে বাদী পক্ষকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।
মামলার বাদী বাবুল তালুকদার নামের যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি বর্তমানে যাবজ্জীবন দন্ড নিয়ে পলাতক আছেন। সে কারণে ছাত্র হত্যার মামলায় আসামির তালিকা নিয়ে বাদী বিভ্রান্ত করার অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি দাদন মুন্সি ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তিনি আজ রোববার সকালে হোয়াটসঅ্যাপে স্থানীয় এক সাংবাদিককে বলেন, আল আমীনের বাবা মামলা করার সহযোগিতা চেয়ে তাকে ফোন করেছিলেন। এরপর আর তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। কারা মামলায় আসামি হয়েছেন তা-ই তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
এদিকে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশন নামক মানবাধিকার সংগঠনের অপরাধ অনুসন্ধ্যান কর্মীরা জানতে পারেন একটি চক্র হত্যা মামলা বাণিজ্যে নেমেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে তারা গোপনে ও প্রকাম্যে খোাঁজ খবর নিয়ে অনুসন্ধানের প্রাপ্ত তথ্য লিখিত আবেদন আকারে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি মহোদয়, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সহ একাধিক সরকারী দপ্তরে আবেদন পত্র পাঠান।
পত্রে মানবাধকিার র্কমী রজিয়িা উল্লখে করছেনে আমি মোসাঃ রিজিয়া পারভীন, আমি হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর একজন মানবাধিকার কর্মী। মাঠ পর্যায়ে অপরাধ অনুসন্ধান কালে গোপনে খোঁজ খবর নিছিলাম যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সারাদেশে বৈষম্য কোটা বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া লাশ নিয়ে কিছু ব্যক্তি মামলা বাণিজ্য করছে। ঐ সকল মামলা বাণিজ্যকারীদের সনাক্ত পূর্বক মুখোশ উন্মোচন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম চলছিল। এমতাবস্থায় জানতে পারি গত ইংরেজি ০৫/০৮/২০২৪ইং তারিখ আশুলিয়া থানাধীন বাইপেল এলাকায় কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোঃ আলামিন নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে আন্দোলন এলাকার বিভিন্ন দৃশ্য ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে ছিল। এরিমধ্যে হঠাৎ পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। উপস্থিত লোকজন মৃত আলামিনকে ভ্যান গাড়িতে তোলে এক পর্যায়ে নগর স্বাস্থ্য সেবা হাসপাতালের একটি এম্বোলেন্সে তোলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে মৃত আলামিনের সাথে থাকা মোবাইল ফোনে তার পরিবার তাকে না পেয়ে তার পরিবারের এক সদস্য এক ফেইজ বুক আইডিতে (গরৎ গঁযধসসধফ অষধসরহ) লিখেন আমার ভাইকে খোঁজে পাচ্ছি না। যদি কারো সন্ধান জানা থাকে তাহলে স্কিনে দেওয়া মোবাইল নাম্বারে তার সন্ধান দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি মোবাইল নম্বর লিখেন। এক পর্যায়ে তার পরিবার আলামিনের মৃত দেহের সন্ধান পান একটি হাসপাতালে আলাামিনের পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে আলামিনের লাশ বুঝে নিয়ে দাফনের ব্যবস্তা করেন।
এরি মধ্যে এক দল লোক লাশ নিয়ে মামলা বাণিজ্যে মেতে উঠে। মামলা বাণিজ্যকারী ব্যক্তিগণ মৃত আলামিনের পিতা ইসমাইল, সাং-রোড নং-১৪, বøক-ডি, বাসা নং-১৯, সেকশন-১২, পল্লবী, ঢাকা-১২১৬, স্থায়ী ঠিকানা-বাসানং-১৭, ডাকঘর-পঞ্চপল্লী-৮০২০, থানা-নড়িয়া, জেলা-শরিয়তপুর, জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৬৪৭৯৮২৩৫৪৫, মোবাইল-০১৯১১৯৬৬১৭০, উক্ত ব্যক্তির সাথে মামলাবাজগণরা যোগ সাজশে হত্যার ঘটনাস্থল আশুলিয়ার পরিবর্তে তাহা গোপন করে পরিকল্পিত ভাবে এলাকার পূর্ব শত্রæতা উদ্ধারে অর্থ উপার্জনের লোভ লালসায় ঘটনা স্থলে না থাকা শরিয়তপুর জেলার প্রায় বহু লোকজনের নামে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং মিথ্যা সাজানো ঘটনাস্থল দেখিয়ে পল্লবী থানা এলাকায় তার ছেলে আলামিন মারা গেছে বলে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে নাটকীয় সাজানো মামলা দায়ের করে। মামলা ব্যবসায়ীরা হত্যার ঘটনায় আসল জড়িত লোকজনদের সাথে গোপনের অর্থের বিনিময়ে মামলা হতে বাদ দিয়ে ঘটনায় জড়িত না এমন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞ সিএমএম আদালত ঢাকায় একটি সাজানো মামলা করে। পিটিশন মামলা নং-৮০৩। যাহা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। আলামিন হত্যায় জড়িত মূল অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচারের স্বার্থে উক্ত আলামিন হত্যায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এরি মধ্যে গত ২১/১০/২০২৪ইং তারিখ বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত নং-২০, ঢাকায় মামলার বাদী ইসমাইল ঐ মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং মামলাটি তুলে নেন। মামলার একাধিক আসামীরা বলেন, আমাদের নামে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়ে আমাদের মান সম্মানের ব্যাপক ক্ষতি করে বাদী পক্ষ মোটা অংকের আর্থিক লাভবান হয়ে মামলাটি তুলে নেন।