সিএনএম প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় দাবি কৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাড়িতে এসে ছোঁড়া গুলির ঘটনায় যুবলীগ নেতার দুই সহোদর আহত হয়েছে।
সোমবার ( ১৩ মে) মাগরিব নামাজের আনুমানিক ২০ মিনিট পূর্বে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের কাউছার মিয়ার বাড়ির সামনে। প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন আলীনগর গ্রামের মৃত জুলহাস মিয়ার ছেলে আল আমিন(২৫) ও মো. শাহিন (২২)।
এসময় আহতদের স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। তিতাস থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে জানতে দেখা যায়।
আহত আল আমিন ও শাহিনের বড় ভাই যুবলীগ নেতা মো.নুরুজ্জামান বলেন, আমি একটি মাটি কাটার ভ্যাকু এনেছি একটি রাস্তার কাজ আরেকটি এক গৃহস্তের পুকুর কাটার আনলে পোড়া কান্দি গ্রামের ছাদেক মেম্বারের ছেলে আলাউদ্দিন, নুর নবীসহ বাবু,হযরত আলী ও ইয়াছিন আরো ১৫/১৬ জন মিলে আমাদের গ্রামে এসে আমার দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি গুলি করে আহত করে, এসময় আমি আমার নিজ বাড়িতে ছিলাম। যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান আরও বলেন ৪/৫ দিন আগে আমার নিকট যখন চাঁদা চায় আমি বিষয়টি তিতাস থানার সেকেন্ড অফিসার খালেকুজ্জামানকে জানিয়েছি, তাদের একজনকে থানায় নিয়েও ছিল,বিচার করার আশ্বাস দিয়ে নিয়ে আসার পর আজ এই ঘটনা।
তিতাস থানার সেকেন্ড অফিসার (এস আই) খালেকুজ্জামান নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়ে আমাকে কেউ অবিহত করেনি এবং আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
গুলির ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন বলেন, ৪/৫ দিন আগে আমাদের পোড়াকান্দি গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে হযরত আলীর সাথে একটি বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নুরুজ্জামানের লোকজন হযরত আলীকে ধরে নিয়ে যায়,তখন তিতাস থানা পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে গেলে দুই পক্ষই আপোষ করে চলে আসে।আজকের ঘটনা আমি জানিনা।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, আজকে সন্ধ্যায় আলীনগর গ্রামে মারামারি হচ্ছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং আহতদেরকে দেখতে হাসপাতালে পুলিশ গিয়েছে। কয়েকদিন আগে পোড়াকান্দি গ্রামের হযরত আলী নামের কাউকে থানায় আনা হয়ে ছিল কি না? জানতে চাইলে ওসি বলেন ৯৯৯ ফোন পেয়েছি আলীনগর গ্রামে একটি ছেলে কে মারধর করছে,পরে তারা নিজেরাই আপোষ হয়ে গেছে। কাউকে থানায় আনা হয়নি।