মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও দেবর শহিদুল ইসলাম। স্বামী-সন্তান ফেলে দেবরের হাত ধরে পালিয়েছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বান্দুটিয়া গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী তাসমিন। দুই শিশুসহ তিন সন্তানকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে স্বামী নুর ইসলাম। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্ত্রীকে ফিরে পেতে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নুর ইসলাম। লিখিত অভিযোগ করার পর ২ মাস পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীকে ফেরত পাননি অসহায় স্বামী নুর ইসলাম।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম বান্দুটিয়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী গ্রামের বান্দুটিয়া এলাকার নুর ইসলামের স্ত্রী তাসমিন ইসলামকে বিভিন্ন ভাবে ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। ওই প্রেমের জেরে তাসমিন ইসলাম গত বছরের ১১ আগষ্ট দুই শিশুসহ তিন সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করার পর নুর ইসলামের স্ত্রী তাসমিন ইসলামকে শহিদুলের কাছ থেকে উদ্বার করে।
এ ঘটনায় এলাকায় গ্রাম্য ভাবে শালিশের মাধ্যমে শহিদুল ইসলাম তাসমিনের সাথে আর কোন ধরনের সম্পর্ক রাখবে না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করে। বেশকিছু দিন ভাল ভাবেই স্বামী সন্তানের সাথে সংসার করার মাঝেও শহিদুল তাসমিনের সাথে লুকিয়ে কথাবার্তা ও দেখাশোনা চালিয়ে যায়। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে পরকীয়া প্রেমিক শহিদুল ইসলাম গৃহবধু তাসমিনকে নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত পালিয়ে যায়।
নুর ইসলাম জানান, শহিদুল সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে সে আমার বিবাহীত স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রথমে একবার পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয় শহিদুল। এরপর বেশকিছু দিন আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে থাকি। এমতাবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে পুনরায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায় শহিদুল। পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং দুই ভরি ওজনের স্বর্নালংকার হাতিয়ে নেয়। অনেক খোঁজাখুজির পর আমার স্ত্রীকে এবং শহিদুলকে কোথায়ও না পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।