দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, জরাজীর্ণ সব ভবন ভেঙে দেশে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, ভবনগুলো ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল হবে। ভবন নির্মাণে অনুসরণ করা হবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডের (বিএনবিসি) সব শর্ত।
বুধবার (১১ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব পরিকল্পনার কথা জানান।
বিএসআরএফ-এর সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ভূমিকম্প-সহনীয় নকশায় নতুন করে ভবন তৈরি করা হবে। এরইমধ্যে নির্মিত কিছু ভবন আমরা পরীক্ষা করবো, কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো শক্তিশালী করা হবে।’
তিনি বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি তালগাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ৩৮ লাখ তালগাছ লাগানোর পর দেখা গেলো যত্নের অভাবে গাছগুলোর বেশিরভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। তালগাছ উঁচু হতে ৩০ থেকে ৪০, এমনকি ৫০ বছর লাগে। বজ্রপাত প্রতিরোধে এটা ততোটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এখন বজ্রপাত প্রতিরোধে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি প্রবর্তন হয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।
বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা, প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করা হবে। ৪০ মিনিট আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবে তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং এ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০টি বসানো হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
সূত্র : বাসস