টাকা-কড়ি নয়, কার্ড দিলেই মিলবে নিরাপদ খাবার পানি। হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও থাকছে এখানে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী নগরীর হজরত শাহ মখদুম দরগার সামনে এমন এটিএম বুথের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এ সময় মেয়র বলেন, ইকলি ও কয়েকটি সংস্থার সহযোগিতায় নগরীতে চারটি নিরাপদ পানির এটিএম বুথ স্থাপন করা হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে একটির উদ্বোধন করা হলো। এ চারটি পানির এটিএম বুথে সফলতা পাওয়া গেলে নগরীতে আরও ১০ থেকে ১৫টি স্থানে এ রকম পানির বুথ স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যিক উদ্দেশে নয়, নাম মাত্র মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা আমাদের লক্ষ্য। নগরবাসীর জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করা এবং হাত ধোয়া বিষয়ে সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজটি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
উদ্বোধনকালে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, এফবিসিসিআই পরিচালক শামসুজ্জামান আওয়াল, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ইকলির প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল কাফি, ড্রিঙ্ক অয়েল কান্ট্রি ডিরেক্টর মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিআইজেডের অর্থায়নে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও ইকলি এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। নগরীর লক্ষীপুর মোড়, এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার মোড় এবং বহরমপুর মোড়ে বিশুদ্ধ পানির এ এটিএম বুথ স্থাপন করা হবে।
নির্ধারিত বুথে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে এক লিটার বিশুদ্ধ পানির মূল্য পড়বে মাত্র ৮০ পয়সা। সেই সঙ্গে হাত ধোয়ার বুথও থাকবে সেখানে। বুথের সঙ্গে লাগোয়া একটি কক্ষে সবার সামনেই পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ এটিএম বুথের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানির মান বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত অন্য যেকোনো পানির চাইতে বিশুদ্ধ হবে।
রাজশাহী ওয়াসা নয়ত ভূগর্ভস্থ পানির স্তর থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা পানি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তিনটি স্তরে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে এটিএম বুথের ভোক্তাদের কাছে সরবরাহ করা হবে। এ পানি সংগ্রহ করতে আগে থেকেই নিতে হবে কার্ড।
এটিএম কার্ডের মতোই সেই কার্ডের রেজিস্ট্রেশনে খরচ পড়বে ৫০ টাকা। এরপর শুধু রিচার্জ করে নেওয়া। বুথের কর্মীর কাছ থেকেই অনলাইনে কার্ড রিচার্জ করে নেওয়া যাবে। পানি নিতে এটিএম কার্ডের পাশাপাশি ভোক্তাকে আনতে হবে পাত্র।
নগরীর বিভিন্ন অফিসে ২০ লিটার জারের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা পানিতে ভোক্তাদের যেখানে খরচ হয় ৫০ টাকা, সেখানে এ বুথ থেকে পানি নিলে খরচ পড়বে মাত্র ১৬ টাকা। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এ বুথ। চারটি বুথে চার জন সার্বক্ষণিক কর্মরত থাকবেন।