রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওৎপেতে থাকত চক্রটির সদস্যরা। সময় সুযোগ মতো যাত্রীদের বা পথচারীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে দৌড় দিত তারা। ছিনতাই চক্রটি রাজধানীর গাবতলী, কল্যাণপুর, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর ব্রিজসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোকে টার্গেট করে তাদের কার্যক্রম করে আসছিল।
চক্রটি এখন পর্যন্ত গত চার মাসে প্রায় ৪৫৫টি মোবাইল ছিনতাই করেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রটির সদস্যদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব-৩।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল ফোন ছিনতাইকারী চক্রটির পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তাররা হলেন জাহাঙ্গীর (৪০), সাজু মন্ডল সাহাজুল (৪৫), জাকির হোসেন (৩৪), রাসেল ওরফে মিঠু (৩০) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এন্ড্রয়েডসহ বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩ সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুলকার নায়েন প্রিন্স।
মেজর জুলকার নায়েন বলেন, চক্রটির ১০ সদস্যকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরো পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক সক্রিয়। চক্রটি শুধু মোবাইল ছিনতাই করে না অনেক সময় পথচারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়া তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার করে থাকে।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় চক্রটির সদস্য সাজু মন্ডলের নামে তিনটি, রাসেলের নামে দুটি ও মোক্তার হোসেনের নামে দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করেছে তারা। তবে কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে পড়ে তারা।
এই চোরাই মোবাইল কাদের কাছে বিক্রি করে চক্রটি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চক্রটি মোবাইল বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। ব্যবসায়ীরা কম দামে কিনে, অধিক দামে বিক্রি করছে।