বিষয়ঃ মিথ্যা সংবাদ ও অপসাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইন্দ্রজিত সরকার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি শহিদুল ইসলাম রাজু, পিতা-মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদার, সাং-৩৫, আলফালাহ মসজিদ সংলগ্ন, কাজলা নয়ানগর, পেশা- সাংবাদিক (দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার) স্টাফ রির্পোটার, আমি এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, ইন্দ্রজিত সরকার দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক। সাংবাদিকতার সূত্রে জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রায় ৬-৭ মাস আগে ইন্দ্রজিতের সাথে আমার দেখা হয়। সেই সূত্রে মাঝে মধ্যেই পথে ঘাটে ইন্দ্রজিতের সাথে আমার দেখা হতো। তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায় দেখা হলে সে আমার কাছে অনুসন্ধানী রির্পোটের আইটেম চাইত এবং বলত যে রিপোর্ট করলে মানুষের কাছ হতে মোটা অংকের টাকা চাঁদাবাজি করা যায় যেমন আবাসিক হোটেলে নারী ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, বিভিন্ন চাঁদাবাজ এ ধরনের রিপোর্ট আমার কাছে কয়েকদিন চাওয়ার পর আমি তাকে বলি আপনি চাঁদাবাজি করবেন আর চাঁদাবাজি করার মতো আমার কোন রিপোর্ট নাই। আমি তাকে বুঝাই যে, আপনি সুনামধন্য দৈনিক সমকালের মতো পত্রিকার সাংবাদিক। আপনার তো অনেক বেতন। তাছাড়া অনেক সুনাম রয়েছে। আপনি কেন রিপোর্টের মাধ্যমে সাংবাদিকতা করবেন এক পর্যায়ে আমি ইন্দ্রজিত সরকারের কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে কোন চাঁদাবাজি করার মতো রিপোর্ট না দেওয়ায় ইন্দ্রজিত আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০/০৩/২০২৪ইং তারিখ এরা সাংবাদিক নয় সাংঘাতিক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। উক্ত সংবাদে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার একজন সাংবাদিক সহ বেশ কিছু সাংবাদিক এর নামে ও জুরাইন, ডেমরা, কদমতলী থানা এলাকার পৃথক তিনটি প্রেস ক্লাব। উক্ত প্রেস ক্লাবগুলোতে বেশ কিছু সাংবাদিক রয়েছে প্রেসক্লাবকে জড়িয়ে উক্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ও উক্ত সংবাদে নানা অপকর্ম তথ্য উল্লেখ করে দৈনিক সমকাল পত্রিকার অফিসের সিনিয়রদের কাছে আসল তথ্য গোপন করে অফিসকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপাত্ত রিপোর্টে উপস্থাপন করে এবং তাকে চাঁদাবাজি করার মতো রিপোর্টের সহায়তা না করায় বিভিন্ন সাংবাদিক এর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুরাইন কদমতলী, ডেমরা প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করে যাহা মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ, রিপোর্টে যাদের নাম উল্লেখ করেছে তারা সবাই কোন না কোন পত্রিকার সংবাদ কর্মী। সত্য হলো সে নিজেই একজন বড় মাপের কৌশলী চাঁদাবাজ। ইন্দ্রজিত উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে উক্ত মিথ্যা সংবাদটি তার অফিসের কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে রিপোর্ট করার কারণ হচ্ছে সাংবাদিকদের মধ্যে একটি ভুল বুঝাবুঝি দাঙ্গা ফেসাদ তৈরি করার জন্য। ইন্দ্রজিত সে নিজে একটি বড় মাপের চাঁদাবাজ তাহা গোপন তদন্ত করলে জানা যাবে। তার রয়েছে বিভিন্ন অপরাধ জগতের একাধিক সিন্ডিকেট যেমন মাদক, অসামাজিক কার্যকলাপ চলা আবাসিক হোটেল, ও বিভিন্ন পরিবহন সেক্টেরে চাঁদাবাজদের কাছ সহ ভেজাল খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুতকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেজাল তেল, ও পোড়া মবিল বিক্রয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সহ নানা ধরনের কলকারখানা হতে চাঁদা উত্তোলনে তার রয়েছে উক্ত সিন্ডিকেটের প্রায় ২০-৪০ জন চাঁদা উত্তোলনকারী লোক। তার হয়ে যারা তাকে চাঁদা উত্তোলন করে দেয় ঐ সকল সহায়তাকারীদের সুবিধা দেন তাদের করা নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে তিনি কোন দিন দৈনিক সমকাল পত্রিকায় লেখালেখি করবে না। কয়েক জনের নাম উল্লেখ করা হলোঃ ১। নাজমা ২। শুক্কুর আলী ৩। লিটন ৪। সোহেল ৫। জামাল ৬। সাজ্জাদ ৭। অভি ৮। সবুজগংরা তাকে চাঁদা উত্তোলন করে দেয়। প্রতি মাসে তার প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ঢাকা শহর থেকেই চাঁদা উত্তোলন হয়। উক্ত রিপোর্ট করেই তিনি ক্ষ্যান্ত থাকেন নি। বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে যে, তাকে সহায়তা না করলে আবারও মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করবে। উক্ত বিখ্যাত চাঁদাবাজ সাংবাদিক ইন্দ্রজিত সরকার। এছাড়া ইন্দ্রজিত সরকার কুতুবখালী মাদক সমরাজ্ঞী নাজমার সাথে তার অবৈধ গোপন সু-সম্পর্ক থাকায় আমি নাজমার মাদক ব্যবসার বিভিন্ন সময় বিরোধীতা করায় ও রিপোর্টে উল্লেখিত সেলিম নাজমার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রনালয় অভিযোগ করায় নাজমার বর্ষিভূত হওয়ায় সাজানো মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অপসংবাদটি দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশ করে যাহা নিন্দনীয়।
অতএব, উপরে উল্লেখিত বিষয় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৈনিক সমকাল পত্রিকায় একই পাতায় উক্ত রিপোর্টের প্রতিবাদ দেওয়া সহ সাংবাদিক ইন্দ্রজিতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
যে দপ্তর গুলোতে পাঠানো হয়েছেঃ
১। মহা-পুলিশ পরিদর্শক মহোদয়।
২। উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক, এআইজি মিডিয়া সেল।
৩। পুলিশ কমিশনার।
৪। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার।
৫। উপ-পুলিশ কমিশনার, ওয়ারী বিভাগ।
৬। সম্পাদক, দৈনিক সমকাল পত্রিকা।
৭। বার্তা সম্পাদক, দৈনিক সমকাল পত্রিকা।
৮। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা।
নিবেদক
শহিদুল ইসলাম রাজু