সরকার ঘোষিত বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের ১২ হাজার ৭৮০টি বই রাতের আঁধারে পাচারের সময় শিক্ষা অফিসের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১০ এপ্রিল) দুদকের রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাম অফিস সহকারী গৌতম চক্রবর্তী ও এমএলএসএস (অস্থায়ী) মো. রুবেল। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-২১১৪ নম্বরের ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে ট্রাক চালকসহ আরো সন্দেহভাজন ৩ জনকে আসামি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে দীঘিনালা উপজেলা চত্বরের পরিত্যক্ত মৎস্য ভবনের সামনে (বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিনামূল্যে সরকারি বিতরণযোগ্য বই একটি ট্রাকে লোড করা হচ্ছিল। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি গৌতম চক্রবর্তী ও মো. রুবেলকে ১২ হাজার ৭৮০টি বইসহ ট্রাক আটক করে পুলিশ। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ট্রাকচালকসহ আরও বেশ কয়েজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে দীঘিনালা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বিষয়টি দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপরই নথিপত্র ও সাক্ষীদের বক্তব্য রেকর্ড করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৫১১/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরেুদ্ধে মামলা করে দুদক। আটক আসামিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর তদন্তে বাকি আসামিদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক।