হবিগঞ্জ: তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এখন সর্বত্র। দক্ষতার সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহারের নানা কূটকৌশল বের করে নিচ্ছে অপরাধীরাও।
প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে বৃথাই প্রায় ২০০ কিলোমিটার পারি দিলেন হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান। এতে তার খরচ হয়েছে কয়েক হাজার টাকাও। এখন সেই প্রতারকের সন্ধানে নেমেছে র্যাব।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তিন নম্বর তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. লিটন মিয়া গত মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন চৌধুরীবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. হাবিবুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। তাকে জানানো হয় নরসিংদীতে রেলস্টেশনের পাশে নিখোঁজ লিটন মিয়াকে অজ্ঞাত অবস্থায় পেয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তখন কলদাতাকে তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ করে দেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
পরে কলদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে এসআই হাবিবুর আরেকজন কনস্টেবল ও একজন জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হন। পথেই প্রতারক পুনরায় কল দিয়ে বলে ‘আমি অনেকগুলো টাকা খরচ করেছি, আর টাকা নেই, আপনারা ২০ হাজার টাকা পাঠান’। তখনই এসআই হাবিবের সন্দেহ হয় ও তিনি বলেন, আমি রাস্তায় আছি, সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনও আছেন। আমরা আসলে টাকা দেব। এরপর আর প্রতারক যোগাযোগ করেনি। রাতে তারা নরসিংদী পৌঁছে হাসপাতালে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিকে পাননি।
এরপর রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা জানতে পারেন একই মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পরে তারা ফিরে আসেন।
এ বিষয়ে এসআই হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কি কারণে তাদের সঙ্গে এমনভাবে প্রতারণা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসা-যাওয়ায় তাদের প্রায় ২০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করতে হয়েছে। এতে কয়েক হাজার টাকাও খরচ হয়েছে।
বিষয়টি তিনি র্যাবের এক কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। চক্রটিকে ধরার জন্য র্যাব কাজ করছে। নিখোঁজ ইউপি সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরির পর তার সন্ধানে থাকা অবস্থায় এমনভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন জানান, পরবর্তীতে ভৈরবে নিখোঁজ ইউপি সদস্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। খবর পাওয়ার পরপরই আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছি।